মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী গ্রামে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে মো. হাসান মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বাবা, মা ও বোনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে গজারিয়ার হোসেন্দী বাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
এরা হলেন-নিহত হাসানের বাবা মো. শামীম শিকদার (৪০), মা হাসিনা বেগম (৩৮) ও বোন (১৫)।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রইছ উদ্দিন নিশ্চিত করে জানান, নিহত হাসান মিয়া মাদকাসক্ত ছিল। ঘটনার দিন রাতে তার বোন প্রকৃতির ডাকে সাড়ে দিতে ঘরের বাইরে বের হলে হাসান তাকে জোর করে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বোনের চিৎকারে মা, বাবা এসে ছেলেকে মারধর করলে একপর্যায়ে বোন হাসানের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় ও মা পায়ে ধরে ও বাবা বালিশ দিয়ে মুখে চাপা দিলে হাসানের মৃত্যু হয়। গোপন করার জন্য হাসানের মরদেহটি বাড়ির পাশে ডোবায় ফেলে দেয় পরিবারের সদস্যরা। নিহতের মা হাসানের মরদেহ ডোবায় পড়ে রয়েছে বলে স্বপ্নে দেখেছেন বলেও তিনি জানান। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। প্রথমে এ হত্যাকাণ্ডটি এলাকার পূর্ব শত্রুতার জেরে হয়েছে বলে মা দাবী করেন।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করে নিহতের ছোট ভাই। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেই ঘটনার মূল রহস্য জানা গেছে। সে মামলার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে।
উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী গ্রামের ডোবা থেকে হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ির পাশের ডোবা থেকে অতিমাত্রায় দুর্গন্ধ বের হলে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে। ১৭ দিন ধরে মরদেহটি ডোবায় পড়ে ছিল।