মোঃ কামাল হোসেন
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি নির্বাচনী এলাকার প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক বলেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভোট বিহীন জুলুম করে ক্ষমতা দখল করে দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। দেশের মধ্যে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আহাজারি দেশের সম্পদ লুটপাটে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায় কিন্তু শেখ হাসিনা পরিবর্তন চায় না। তিনি বলেন স্বৈরাচারী কায়দায় বেশিদিন টিকে থাকা কঠিন হবে যখন জনগন রাস্তায় নেমে যাবে। সেদিন পালানোর সময় পাওয়া যাবেনা। তাই সময় থাকতে তত্ত্বাবাধায়ক সরকারে অধীনে সুস্থ নির্বাচন দিয়ে দেশের মানুষকে শান্তি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে একদিন জনগনের কাছে এর জবাব দিতে হবে শেখ হাসিনাকে।
তিনি বলেন গত নির্বাচনে যারা ধানের শীর্ষের প্রার্থীকে পরাজিত করার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে এখন তারা কখনো ধানের শীর্ষের কর্মী হতে পারে না। উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে যারা পরাজিত করার জন্য আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে তারা কখনো বিএনপির কর্মী হতে পারে না। তারা সব সময়ের জন্য সুবিধাবাদী দলের কর্মী হিসাবে গন্য হবে। তিনি আরো বলেন বিএনপির রাজনীতি করতে হলে প্রথমে কর্মী হতে হবে কিন্তু তথাকথিত ডক্টরেট ডিগ্রীধারী লোক কখনো বিএনপির রাজনীতি না করলেও এখন বিএনপির নেতা দাবী করাটা হাস্যকর। এমন ডিগ্রী ধারী বিএনপির কর্মী লাখ লাখ রয়েছে। বেশি তাড়াহুড়া করলে পা ভেঙ্গে যাবে। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন ভয় পাওয়ার কিছু নেই। দলের সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যে কোন আন্দোলনে আমরা রাজপথে থাকবো এবং তা বাস্তবায়ন করবো। হাজীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিশাল র্যালী ও আলোচনা সভা প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন।
গতকাল ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের বিশাল র্যালী ও আলোচনা সভা উপলক্ষে দুপরের পর থেকে উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যানারে মিছিলসহ কারে কর্মীরা হাজীগঞ্জ পশ্চিমবাজার দলীয় কার্যালয় আসতে শুরু করে। বিকাল ৪টার মধ্যে পশ্চিম বাজার বিশ্বরোডে কানায় কানায় ভরে যায় নেতাকর্মীরা। বাদ আসর জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল নিয়ে পশ্চিম বাজার হয়ে পূর্ব বাজার গিয়ে আবার পশ্চিম বাজার দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
উপজেলা যুুবদলের সাবেক আহবায়ক ও ২ং বাকিলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যন এম এ নাফের শাহর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন মোল্লা, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হক মোহন চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোঃ নাজির আহমেদ, সিব্বীর আহমেদ পাটওয়ারী,সিরাজ খান, মনিরুজ্জমান মনির, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান রানা, পৌর বিএনপির আহবায়ক আবদুর রহমান মিয়াজি, যুগ্ম আহবায়ক নাদিম উল্লাহ নাদিম, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আকতার হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ূন কবির সুমন, পৌর যুবদলের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ফখু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ এমরান হোসেন,স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কাউছার আহাম্মদ রিপন, সদস্য সচিব শাহীন মজুমদার, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আবু সায়েম মিয়াজী,যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ খান পৌর ছাত্রদলের সভাপতি সাহাবুদ্দিন সাবু, সাধারণ সম্পাদক মারুফ খান রাসেল প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১ নং রাজারগাঁ ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমন,২ নং বাকিলা ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি মোৎ মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মমিন মেস্বার, ৪ নং কালচোঁ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন,সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর মল্লিক, ৫নং সদস ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ টুকু, ৬নং বড়কুল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ইমাম হোসেন, ৮নং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মানিক মিয়া,৯ নং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ হাবিব মাষ্টার, ১০নং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ শহিদ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অহিদ উল্লাহ মাষ্টার, ১১ নং হাটিলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন মাষ্টারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।