মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে দলের ইশতেহার ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঘোষিত ইশতেহারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে না থাকার বিধান, গণভোট পদ্ধতি পুনঃপ্রবর্তন, উচ্চকক্ষ সংসদ প্রতিষ্ঠা, বিরোধীদল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ, ন্যায়পাল নিয়োগ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট বাতিল বিশেষ ক্ষমতা আইন’৭৪ বাতিল এবং বেকার ভাতা প্রদানসহ ১৯ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি।
‘ভিশন ২০৩০’-এর আলোকে ইশতেহার তৈরি করেছে বিএনপি। ‘এগিয়ে যাবো একসাথে, ভোট দেবো ধানের শীষে’- স্লোগানকে সামনে রেখে নির্বাচন উপলক্ষে দলটির ইশতেহার তৈরি করা হয়েছে।
এবারের ইশতেহারে তরুণ প্রজন্মের ভোটার টানতে তাদের বিভিন্ন চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে তরুণদের সাম্প্রতিককালের দাবি- কোটা সংস্কার, ভ্যাটমুক্ত শিক্ষা ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের বিষয় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ইশতেহারে।
একই সঙ্গে ইশতেহারে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে নিম্ন আদালতের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করার কথা রয়েছে।
ইশতেহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মইন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইশতেহার ঘোষণা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ৩৫ দফার এই ইশতেহারে দেয়া হয় ১৪ প্রতিশ্রুতি।