চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে শ্রবণ প্রতিবন্ধী কিশোরীকে কৌশলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করেছে গ্রাম পুলিশ, সিএনজি স্কুটার ও ইজিবাইক চালকসহ ৬ যুবক।
এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে আটক করে ১৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করেছে। উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে নরকীয় এই ঘটনাটি ঘটে।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জানা গেছে, গত ১১ জানুয়ারি সোমবার বিকালে শ্রবণ প্রতিবন্ধী কিশোরীটি বুকের ব্যথার ঔষধ কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে একই বাড়ির জামাল হোসেনের ছেলে ইজিবাইক চালক টিটু কৌশলে তার ইজিবাইকে তুলে নিয়ে কিশোরীকে পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এরপর তাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাত হয়ে গেলে টিটু ও তার সহযোগী অন্যরা পালাক্রমে দ্বিতীয়বার ইউনিয়নে পরিষদ ভবন এলাকায় এবং সর্বশেষ পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে আবারো ধর্ষণ করে এবং ওই বাগানের পাশে ফেলে রেখে যায়।
পরে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। বাড়ি ফিরে কিশোরীটি পরিবারের লোকজনকে এ ঘটনা জানায়। এরপর স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে এলাকার কিছু প্রভাবশালীরা।
একপর্যায়ে সোমবার রাতে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে অভিযানে বের হয়। রাতভর অভিযান চালিয়ে তিন জনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তারা সবাই ইজিবাইক ও সিএনজি স্ক্রুটার চালক এবং ১৯ জানুয়ারি দুপুরে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত গ্রাম পুলিশকে আটক করে ।
এরা হলেন,একই বাড়ির জামাল হোসেনের ছেলে ইজিবাইক চালক টিটু (২০), আইটপাড়া গ্রামের আ: মান্নানের ছেলে শিপন (২৫), ভূলাচৌ গ্রামের মৃত আবু বকর সিদ্দিক প্রকাশ কালুর ছেলে মিজানুর রহমান রিপন (৪৫)।বিকেলে কামতা গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে চৌকিদার (গ্রাম পুলিশ) আ:মালেক(৪৫)কে আটক করে।
পরে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনার শিকার কিশোরীটির মা জোছনা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ফরিদগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান,১৮ জানুয়ারি সোমবার রাতে ঘটনাটি শোনার পর রাতেই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত তিন জনকে এবং মঙ্গলবার দুপুরে আরেকজনকে আটক করতে সক্ষম হই।
বাকীদেরকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কিশোরীটিকে উদ্ধার করে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপের জন্য ও আটককৃতদের চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।