চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অটোরিক্সা চালক ফয়েজ খান হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সিআইডি একজনকে আটক করেছে।
এসময় নিহত ফয়েজ খানের ব্যবহৃত মুঠো ফোনটিও উদ্ধার করেছে। তবে আটককৃত ব্যক্তির নাম ও পরিচয় তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করেনি সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক আবু জাহের সরকার।
উল্লেখ্য, ১ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার রাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের লামচর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে ফয়েজ খানের বিকৃত লাশটি উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। ঐ রাতেই ফয়েজ খানের পিতা লতিফ খান বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামাদের আসামী করে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরদিন ২ এপ্রিল শুক্রবার সকালে পোস্ট মর্টেমের জন্য লাশটি চাঁদপুর প্রেরণ করে পুলিশ। ফয়েজ খান উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ধানুয়া গ্রামের লতিফ খানের একমাত্র ছেলে।
এর আগে ২৮ মার্চ রোববার ফয়েজ খান তার অটোরিক্সাটি নিয়ে বাড়ী থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। এর পরদিন তার বাবা লতিফ খান ফরিদগঞ্জ থানায় একটি নিঁেখাজ ডায়েরী করেন।
এরপর ১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের লামচর গ্রামের কালী মন্দিরের পাশে জনৈক শিপন দাসের পরিত্যক্ত ঘর থেকে হাত-পা বাঁধা অর্ধগলিত ও বিকৃত লাশের সন্ধান পায় পুলিশ। পরে লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের লোকজন তার পরিধেয় গেঞ্জি, প্যান্ট ও জুতা দেখে লাশটি ফয়েজের বলে সনাক্ত করেন।
এদিকে, লাশটি উদ্ধারের পর ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি ও পিবিআই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে ছায়া তদন্ত শুরু করে করে।
এরই একপর্যায়ে সিআইডি পুলিশ মোবাইল ফোন ট্রাকিং করে হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে পাশ্ববর্তী হাইমচর উপজেলা থেকে এক যুবককে আটক করার পর মামলাটির তদন্তভার তারা গ্রহণ করে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, আটককৃত ঐ যুবক ফয়েজ খানের আত্মীয়।
এব্যাপারে মুঠোফোনে শুক্রবার বিকালে চাঁদপুরের সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক আবু জাহের সরকার জানান, আটককৃত যুবককে নিয়ে হত্যার সাথে জড়িত অন্যদের আটক করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে হত্যা রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হবো