অনলাইন ডেস্ক :
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কিছু বলার নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
আজ নাইকো দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজিরা শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তরে বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে কিছু বলার নেই।’ এর বেশি তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলা চলছে।
আজও আদালতের স্থান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া। তিনি আদালতের উদ্দেশে বলেন, আমার আইনজীবীরা বসতে পারেন না। এখানে আইনজীবীদর গেট থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। আপনারা সাজা দিলে দিয়ে দেন। যা সাজা দেয়ার দিয়ে দেবেন, তাও আমি এ আদালতে আসব না।
খালেদা জিয়া বলেন, এত ছোট জায়গায় মামলা চলতে পারে না। এখানে আমাদের কোনও আইনজীবী বসতে পারেন না। এখানে মামলা চললে আমি আর আদালতে আসব না।
এদিকে, আগামী ১৩ জানুয়ারি এই মামলার শুনানির পরবর্তী তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।
শুনানির শুরুতেই দুদকের পক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। পরে এর বিরোধিতা করে মওদুদ আহমদ নিজেই তার পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন।
বেলা বারোটার পর মামলার শুনানি শুরু হয়। দুপুর ২ টায় শুনানি শেষে বিচারক এজলাস থেকে নেমে গেলে খালেদা জিয়া তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সঙ্গে ১০ মিনিট কথা বলেন। এর পরপরই খালেদা জিয়োকে আবারও নেওয়া হয় পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের কক্ষে।
কানাডার কম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এসএম সাহেদুর রহমান।
মামলার অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ