সোহাঈদ খান জিয়া ॥
ইদানীং শুধু চাঁদপুর শহরই নয়, শহরের বাইরেও হিজড়াদের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। হিজড়া আতঙ্কে এখন শহরতলী ও গ্রাম গঞ্জের মানুষ। হিজড়ারা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে শহরে বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে সেখানে ৫/১০ হাজার টাকা চাঁদা/বকশিশ হিসেবে দাবি করে থাকে। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে ডাক চিৎকার, গালমন্দ, টানা হেঁচড়া করাসহ বর ও কনে পক্ষের লোকজনের মানসম্মান নষ্ট করে। মানসম্মানের ভয়ে অনেকেই তাদেরকে জামাই আদরে ২/৩ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করে। অনেক সময় ২/৩ হাজার টাকাও তারা নিতে চায় না। ৫শ’ ১ হাজার টাকা দিলে তো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে। অনেক সময় তাদের চাহিদা মতো টাকা না হলে দলবদ্ধ হয়ে এসে হামলার চেষ্টা করে। বিয়ের অনুষ্ঠান ছাড়াও শহরের বাসা বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান বা কোনো পরিবারে সন্তান জন্মগ্রহণ করলে সেখানে ঢুকে চাঁদা দাবি করে। না হলে চিৎকার-চেঁচামেচি করে মানসম্মান নিয়ে টানা হেঁচড়া করে। খলিশাডুলিতে বাড়ি করেছে মৌসুমী নামে এক হিজড়া। তার নেতৃত্বে হিজড়াদের একটি গ্র“প ওই এলাকাসহ বাবুরহাট বাজারের বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও দোকানে গিয়ে চাঁদাবাজি করে। তাদের অত্যাচারে মানুষজন অনেকটা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এমনকি তারা চাঁদপুর শহরের বাইরে গ্রাম-গঞ্জের বাড়ি, হাট-বাজার, দোকানে গিয়ে টাকা দাবি করে থাকে। আবার হাটের দিন সাপ্তাহিক কালেকশনে গিয়ে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে। হিজড়াদের দৌরাত্ম্য বন্ধে নিরীহ মানুষজন প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।