স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুরে বিষাক্ত ন্যাপথলিন খেয়ে (নেপতা) একই পরিবারের জেসমিন আক্তার (১) ও ইয়াসমিন আক্তার (৪) নামের দুই বোনের করুন মৃত্যু হয়েছে। অপর শিশু রোকসানা(৫) চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় রয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিনা গ্রামের ছৈয়াল বাড়িতে। তারা ইয়াসিন ছৈয়ালের মেয়ে।
জেসমিন ও ইয়াসমিনের মাতা ফাতেমা বেগম জানান, ঘরের সোকেচে রাখা জামা কাপড় পোকা মাকড় থেকে ভালো রাখার জন্য তিনি বহুদিন আগে ওই জামা কাপড়ে ন্যাপথলিন (নেপতা) দিয়ে রাখেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার দুই শিশু মেয়ে খেলার ছলে তাদের অজান্তে কাপড়ে রাখা ওই ন্যাপথলিন মুখে নেয়। তার কিছুনের মধ্যে ছোট মেয়ে জেসমিন ও বড় মেয়ে ইয়াসমিন অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা দুই শিশু মেয়েকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। কিছুন পরই ছোট মেয়ে জেসমিন চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায় এবং বড় মেয়ে ইয়াসমিন বিকেলে চিকিৎসারত অবস্থায় তার অপর মেয়ের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া একই বাড়ির খলিলের মেয়ে রোকসানা(৫) কে আশংকাজনক দেখে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে বলে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদশক মাহবুবুল আলম জানান।।
এদিকে চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীর পানিতে পড়ে রুশি আক্তার নামে বেঁদে শিশুর মৃত্যু। রুশি আক্তার এর বয়স দেড় বছর।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ১৫ জুন দুপুরে চাঁদপুর ৫ নং খেয়া ঘাটের ডাকাতীয়া নদীর কান্দি বেঁদে পল্লীতে। নিহত শিশু রুশি আক্তার মতলব দনি উপজেলার চরমুকন্দী গ্রামের রিয়াদ সওদাগরের মেয়ে।
বেঁদে পল্লীর লোকজন জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে রুশি আক্তার পরিবারের সকলের অজান্তে খেলার ছলে ডাকাতীয়া নদীতে পড়ে যায়। খেলতে খেলতে সে একসময় ঢেউয়ে আঘাতে নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাকে দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজা খুজির পর দুপুরে নদীর পানিতে ভেসে উঠতে দেখে তারা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।