চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আসা জেলেদের হামলায় ১০ জন নৌ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২৫ অক্টোবর রোববার বেলা ১১ টায় চাঁদপুরের মেঘনা নদীর চর লক্ষ্মীপুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন ঢাকা হেডকোয়ার্টার নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরিদা পারভীন (৩৬), পুলিশ সদস্য এস আই ইলিয়াস (৩০), প্রসেনজিৎ (২৪), হেলাল উদ্দিন( ৫০), নায়েক ইকবাল (৪০),মুজাহিদুল ইসলাম( ৪১),আল মামুন (২৮), ফেরদৌস শেখ (২৬), নীলয় দেব (২৫), আলামিন (২৫),কাউসার (৩০), মোনায়েম (২৬), নায়েক শাহজালাল (২৫)। এছাড়াও আরো বেশ কিছু নৌ পুলিশ কমবেশি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা জানান, রোববার ভোরে তারা ঢাকা নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে নৌ পুলিশ সুপার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরিদা পারভিন সহ বিশাল একটি টিম নিয়ে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে নামেন।
অভিযানের টিম চাঁদপুরের মেঘনা নদীর চরলক্ষ্মীপুর স্থানে আসলে ওই এলাকার সমস্ত জেলেরা একজোট হয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় জেলেরা ইটপাটকেল ও বিভিন্ন লাঠি সোটা নিয়ে পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা চালালে শরীরের বিভিন্নস্থানে রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর ভাবে আহত হয়। পরে অভিযানে থাকা অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
আহত ইন্সপেক্টর মুজাহিদ জানান, তারা শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকা হেডকোয়ার্টার থেকে প্রায় শতাধিক পুলিশ সদস্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়ে শরীয়তপুর জেলায় অভিযানে আসেন। সেখান থেকে ফিরে যাওয়ার পথে চাঁদপুরের মেঘনা নদীর লক্ষ্মীপুর স্থানে গেলে তারা দেখেন যে মেঘনা নদীতে অনেক জেলেরা মা ইলিশ নিধন করছে। এ সময় তারা বিভিন্ন স্পিডবোট এবং ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও জেলেদেরকে আটক করেন। পরবর্তীতে ওই এলাকার সমস্ত জেলেরা একজোট হয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এদিকে এমন হামলার ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে এসে আহতদের কাছ থেকে ঘটনার সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং তাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেন। আহতরা প্রত্যেকে বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।