চাঁদপুর সরকারি কলেজ ও পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ পরিদর্শন করেছেন নব-নিযুক্ত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভাইস চ্যান্সেলর) ড. মো. নাছিম আখতার।
৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার তিনি এই দুটি কলেজের ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন। এসময় দুটি কলেজের অধ্যক্ষ এবং অন্যান্য শিক্ষকগণ চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. নাছিম আখতারকে ফুলের শুভেচ্ছায় অভ্যর্থনা জানান।
তিনি প্রথমে পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন। সেখানর কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিনিধি অ্যাড. সাইফুল ইসলাম বাবুসহ অন্যান্য শিক্ষকগণ তাঁকে শুভেচ্ছা জানান এবং কলেজ ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখান।
পরে একইভাবে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন। সেখানে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাস অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়া ড. মো. নাছিম আখতারকে শুভেচ্ছা জানান এবং কলেজ ক্যাম্পাসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর মোর্যাল সহ অন্যান্য স্থাপনা ঘুরিয়ে দেখান।
এর আগে ড. মো. নাছিম আখতার শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে গেলে সেখানে পুরাণবাজার কলেজ অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার ও বাবুরহাট কলেজের অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
প্রসঙ্গত, সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বৃত্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে গত ২৫ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ড. মোঃ নাছিম আখতারকে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভাইস চ্যান্সেলর) নিয়োগ দেয়া হয়। এর আগে তিনি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের অনুমোদনক্রমে ডুয়েট কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতারকে চাঁদপুর প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের কথা বলা হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, উপাচার্য হিসেবে এ নিয়োগের মেয়াদ চার বছর হবে এবং বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতা পাবেন। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রশাসনিক ও একাডেমিক নির্বাহী হিসেবে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের জন্য সংসদে বিল পাস হয়েছিল। এদিন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা পাস হয়। এসময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া।
এদিকে ভিসি নিয়োগের এই প্রজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রমের পথচলা শুরু হলো বলে মনে করছেন চাঁদপুরবাসী।