চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥ আর মাত্র কদিন পরই বরণ করে নেয়া হবে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার জন্য নিত্য নতুন বাঙালিয়ানা ডিজাইনের পোশাক উঠানো হয়েছে শহরের প্রসিদ্ধ মার্কেটের দোকানগুলোতে। অথচ দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় চাঁদপুরে বর্ষবরণের তেমন আমেজ নেই। গত বছর অর্থাৎ ১৪২১ শুরুর ১৫ দিন আগেই দেখা গেছে শহরের মার্কেটগুলোতে বৈশাখী কাপড়-চোপড় কিনতে ব্যস্ত ছিলেন নারী-পুরুষ ও শিশুরা। অথচ মাত্র ৪ দিন বাকি রয়েছে ১৪২২ সনকে বরণ করে নেয়ার। কিন্তু মার্কেটগুলোতে নেই বেচা-বিক্রির তেমন ভিড়।
গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের মীর শপিং কমপ্লেক্স, পুরবী মার্কেট, হকার্স মার্কেট, সাউথ প্লাজা, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, হাকিম প্লাজা, ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্স এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মার্কেটগুলোর বিভিন্ন দোকানে দোকানিরা নিত্য নতুন ডিজাইনের বৈশাখী বাহারের শাড়ি, মেয়েদের জন্য থ্রি পিচ, শিশুদের জন্য নতুন পোশাক উঠিয়েছেন। অথচ সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রতিটি মার্কেটেই দেখা গেছে শুধু দোকানদার ও তাদের কর্মচারীরা বসে রয়েছেন। মাঝে মধ্যে ২/১টি দোকানে কয়েকজন ক্রেতা প্রবেশ করলেও দরদাম ঠিক না হওয়ায় তারা পোশাক দেখেই বের হয়ে যান।
দুপুরে হাকিম প্লাজার ২য় তলায় কয়েকজন ক্রেতাকে ঘুরতে দেখা যায়। কেনাকাটা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানান, বর্ষবরণ উপলক্ষে এবার শহরের মার্কেটগুলোতে অনেক নিত্য নতুন পোশাক উঠানো হয়েছে। তবে দামও মোটামুটি কম অন্যান্য বছরের চেয়ে। এবার দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে মানুষের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাই নতুন বছর উপলক্ষে নতুন পোশাক কেনাকাটার ইচ্ছে থাকলেও আর্থিক অবস্থার কারণে অনেকে ভয়ে মার্কেটে আসতে চাচ্ছে না।
চাঁদপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও হাকিম প্লাজার শপিং সির পরিচালক আঃ মোতালেব মিলনের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেই অর্থনৈতিক মন্দাভাব। একদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা অন্যদিকে বিদেশ যেতে পারছে না অনেক লোক। বিদেশ থেকে ঠিকমতো অনেক পরিবারের সদস্যরা টাকা পাঠাচ্ছে না। সব কিছু মিলেই বর্তমানে মানুষের আর্থিক আস্থা খারাপ। গত বছর দোকানগুলোতে বৈশাখের সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় বহু নারী পুরুষ কেনাকাটা করতে আসেন। এবারে ক্রেতাদের সংখ্যা খুবই কম। তবে আশা করি সামনে বেচাকেনা ভালো হবে।