বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ আসরে দর্শকের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থক গোষ্ঠীগুলো।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা যাদের বলা হয়, সেই ক্রিস গেইল, শহীদ আফ্রিদিরা মাঠে আছেন তবু দর্শক উপস্থিতি সন্তোষজনক নয়।
মূলত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিনোদনের খোরাক এবং ক্রিকেট ভক্তদের ক্রিকেটের পাশাপাশি যেসব উপকরণ প্রয়োজন হয় সেটা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ দিতে পারছে কি?
কেন দর্শক আকর্ষণে ব্যর্থ বিপিএল?
এমন প্রশ্ন রাখা হয় বাংলাদেশের অন্যতম একটি ক্রিকেট সমর্থক গোষ্ঠী বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান জুনায়েদ পাইকারের কাছে।
“প্রথম পর্বটা দেখলাম, প্রথম যে পর্যবেক্ষণ রান বেশি হলে বেশি উপভোগ করতাম, হ্যাঁ কিছু ম্যাচে উত্তেজনা ছিল। কিন্তু স্টেডিয়াম খালি থাকায় সেটাই বেশি চোখে পড়ছে,” বলছিলেন মি: পাইকার।
টিকেটের মূল্য অনেকের জন্যই বেশি বলে মনে করছেন জুনায়েদ পাইকার। টিকেটের মূল্য কমিয়ে একটু বেশি দর্শক টানাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।
বিগ ব্যাশ বা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দেখা যায় ছক্কা-চার বা আউটের পর চিয়ারলিডার থাকেন যারা দর্শক ও খেলোয়াড় উভয়ের জন্যই বিনোদনের খোরাক জোগান।
কিন্তু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এসবের প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন মি: পাইকার।
তার মতে, মিরপুর স্টেডিয়াম যখন পরিপূর্ণ থাকে স্বভাবতই পরিবেশ সুন্দর থাকে মানুষ খেলা দেখে মজা পায়। কিন্তু মানুষ না এলে সেটা খারাপ দেখায়।
তবে বিপিএলের সময়সূচি এখানে বড় প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন তিনি।
সেটা পরিবর্তন করা হয়েছে চলতি সপ্তাহ থেকেই।
শনিবার থেকে প্রথম ম্যাচ শুরু হচ্ছে বেলা ১টা ৩০ মিনিট থেকে এবং দ্বিতীয় ম্যাচটি শুরু ৬টা ৩০ মিনিটে।
বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থক গোষ্ঠী দৌড়া বাঘ আইলোর একজন সংগঠক তানভীর প্রান্ত। তার মতে যত দিন গড়াবে তত এই আসরে দর্শক বাড়বে।
“শুরুর দিকের ম্যাচগুলো ম্যাড়ম্যাড়ে হলেও কিছু উত্তেজনাকর ম্যাচ হচ্ছে মানুষ আস্তে ধীরে মাঠে যাওয়া শুরু করবে।”
কথা হচ্ছিলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের গভর্নিং বডির প্রধান শেখ সোহেলের সাথে।
তিনি বলেন, “কেউ যদি মিরপুরের বাইরে থাকেন, আমাদের খেলাটা যেহেতু দুইটায় নিয়ে এসেছি, সাড়ে বারোটায় কেউ খেলা দেখতে চায় না।”
তবে তিনি আশা করছেন সিলেটে দর্শক পাবেন।
সিলেটের প্রসঙ্গেই প্রশ্ন রাখা হয় যে হোম অ্যাওয়ে ভিত্তিতে বিপিএল করার সম্ভাবনা আছে কি না।
মি: সোহেল বলছেন, “বিপিএল তো তিনটি ভেন্যুতে হচ্ছে, সামনে আরো একটি ভেন্যু যোগ করা হবে। আমরা আশা রাখি প্রতিটি বিভাগে খেলা আয়োজনের ব্যবস্থা করা হবে।”
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের একজন উপস্থাপিকা পিয়া জান্নাতুলের কাছে জানতে চাওয়া হয় বিপিএল কতটা দর্শকদের চাহিদা মেটাতে পারছে।
“মূলত এটা দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। যখন স্পাইডার ক্যাম এলো, মানুষ আল্ট্রা এজ নিয়ে কথা বলছিল, সেটা ইতিবাচকভাবেও বলা যেতো।”
“নির্বাচনের কারণে মানুষের আগ্রহের একটু কমতি ছিল তবে দিন গড়ানোর সাথে সেটার দৃশ্য পালটে যাবে।”