কচুয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাঝিগাছা গ্রামের অধিবাসী হালিম পাটওয়ারী বাহারের দলীয় গেইট ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হালিম পাটওয়ারী বাদী হয়ে রবিবার কচুয়া থানা একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার মাঝিগাঝা জামালিয়া দক্ষিন বাজারে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার কিছুদিনপর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হালিম পাটওয়ারী বাহার রাস্তার উপর দু’পাশে পাকাকরণ করে একটি দৃষ্টিনন্দন গেইট তৈরি করে। ওই গেইটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি ও স্থানীয় শীর্ষ নেতাকর্মীদের ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে গেইট সাজানো হয়।
কিন্তু ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে কে বা কাহারা ওই গেইট ভাংচুর করে অজ্ঞাত স্থানে ফেলে দেয়। বর্তমানে ওই বাজারে গেইটের কোনো চিহ্ন নেই।
স্থানীয়রা জানান, এর আগে গত ২৮ নভেম্বর হালিম পাটওয়ারী বাহারকে মাঝিগাছা বাজারের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এ ঘটনায় হালিম পাটওয়ারী বাহার সন্দেহভাজন ওই বাজারের পাহারাদার জামাল হোসেন ও মুজাফফর মৃধাকে অভিযুক্ত করে কচুয়া থানায় একটি এজহার দেন।
হালিম পাটওয়ারী বাহার জানান, আমি দলের একজন নিবেদিত কর্মী হওয়ায় একটি স্বার্থন্বেষী পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে আমাকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। আমি দল করেও দলের কিছু নেতাকর্মীর কাছে নিরাপদ নই।
সাবেক ইউপি সদস্য মো: নুরুল ইসলামসহ একাধিক লোকজন জানান, গত ১০/১১ বছর ধরে মাঝিগাছা বাজারে হালিম পাটওয়ারীর গেইট সুসজ্জিত ছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য একটি মহল গেইটটি ভেঙ্গে ফেলে। আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের খুজেঁ বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাই।