কচুয়া প্রতিনিধি-
কচুয়ায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুমিল্লা জেলাধীন বরুড়া উপজেলার মহিতপুর গ্রামের নজির মিয়া ও তার কথিত স্ত্রী শাহিদা বেগমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বরুড়া উপজেলার মহিতপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র নজির মিয়া ও শাহিদা বেগম কচুয়া উপজেলার নাউলা গ্রামের মকবুল হোসেন পাটওয়ারীর গৃহে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিল। চলতি বছরের ২০ জুলাই ধর্ষনের অভিযোগ এনে নাউলা এলাকার আব্দুল হাকিমের পুত্র মানিক (২৫), কলমিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র সুফিয়ান (২৫), আবুল বাসারের পুত্র খোকন (৪৫), মনির হোসেন পুত্র আমির হোসেন (২৭), আব্দুস সোবহানের পুত্র সাফায়াত হোসেন (৩৪), সহিদের পুত্র জয়নাল (২২), মাসুদের পুত্র সফিক (২২) ও ইউনুসের পুত্র জাকির (৩৫) কে আসামী করে কচুয়া থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে। যার নং ০৯, তারিখ ২০-০৭-২০১৪ইং। ওই মামলার তিন আসামী গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সরে জমিনে কচুয়া উপজেলার নাউলা গ্রামে মকবুল পাটওয়ারীর বাড়িতে গিয়ে স্থানীয় একাধিক লোকজন নজির মিয়া ও শাহিদা বেগমের সম্পর্কে নানান অভিযোগ তুলে ধরেন।
ওই বাড়ির মৃত আলী আকবেরর স্ত্রী সৈয়দান্নেচ্ছা জানান, শাহিদা বেগম খুবই খারাপ প্রকৃতির মহিলা। সে পূর্বে রহিমানগরের সাত বাড়িয়া গ্রামে ভাড়া থাকতো। সেখানে তার অসামাজিক কর্মাকান্ড দেখে তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। বাড়ির মালিক মোকলেছুর রহমান জানান, নজির নামে এক যুবককে স্বামী বানিয়ে আমাদের ভুল বুঝিয়ে শাহিদা বেগম বাসা ভাড়া নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা তাকে বের করে দেই। একই বাড়ির জাকির হোসেনের স্ত্রী হাজেরা আক্তার জানান, শাহিদা বেগম এ বাড়িতে বাসা ভাড়া নেয়ার পর তার সাথে দেখা করতে প্রায় সময় মোটর সাইকেল যোগে অচেনা লোকজন যাওয়া আসা করতো। এতে তার প্রতি আমাদের সন্দেহ হয়। কলমিয়া গ্রামের যুবলীগ নেতা গোলাপশাহ জানান, স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই এ মামলার সৃষ্টি হয়। এতে এলাকার দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের আসামী করে হয়রানী করা হয়। কথিত ঘটনার পর নজির হোসেন ও শাহিদা বেগম এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয় ও ক’দিন পর কুচক্রিমহলের প্ররোচনায় কচুয়া থানায় গিয়ে একটি বানোয়াট মামলা দায়ের করে বলে স্থানীয়রা জানায়।
এদিকে জনৈক নজির হোসেন ও তার স্ত্রী শাহিদা বেগমের মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি পেতে স্থানীয় প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।