কচুয়ায় পৌর কাউন্সিলরসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
কচুয়া পৌরসভাধীন কোয়া গ্রামের গৃহবধু তানিয়া হত্যা মামলায় পৌর কাউন্সিলরসহ ৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ১০হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা বিজ্ঞ জজ সালেহ উদ্দিন আহম্মদ এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ঃ কচুয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪০), কামাল হোসেন (৪২), জয়নাল হাজারী (৪৮), মিজান হোসেন (৩৭) ও সাবেক মহিলা কাউন্সিলর খোরশেদা বেগম (৪৫)। এদের মধ্যে খোরশেদা বেগম পলাতক রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি কচুয়া পৌরসভার কোয়া এলাকার সাবেক কাউন্সিলর ইদ্রিস আলম বেপারী বাড়ি।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০০২ সালে কচুয়া পৌরসভার কোয়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের সাথে পার্শ্ববর্তী হাজীগঞ্জ উপজেলার তারাপল্লার আবুল হোসেনের মেয়ে তানিয়া আক্তারের পরিবারিকভাবে বিয়ে হয়। আনোয়ার হোসেন সৌদি প্রবাসি। সে দুই এক বছরের ফাঁকে ফাঁকে দেশে যাওয়া আসা করতো। এর মাঝে আনোয়ারের ভাতিজা সম্পর্কে এক যুবকরে সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তানিয়া। ২০ এপ্রিল ২০১১ সালে তানিয়া ওই যুবককে নিয়ে সিলেট পালিয়ে যায়। সেখান থেকে অনেক খোঁজাখুজির পর ২৩ এপ্রিল তাদেরকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূ তানিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তানিয়াকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে তার বাবা আবুল হোসেন একটি মামলা দায়ের করেন মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় দীর্ঘ শুনানী ও স্বাীগণের স্ব্যা গ্রহন শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার রায় প্রদান করেন।
এদিকে আসামী পরে আইনজীবী অ্যাড. মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান, মামলাটি দু’বছর আগে স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসা হয়েছে। আপোষ-মিমাংসার অনুকুলে ১৭ জন স্বাী আদালতে জবানবন্দী দেয়। বিজ্ঞ বিচারক শালিশীদের (আসামীদের) কারাদন্ড দিয়েছেন। কিন্তু আমি মনে করি আসামীগণ এতে ন্যায় বিচার পায়নি। আসামীদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে আমরা অচিরেই উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আমার বিশ্বাস উচ্চ আদালত ন্যায় বিচার নিশ্চিত করবে।