কচুয়ার আশ্রাফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মাসুদ এলাহী সুবাসের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন কিশোরীকে পরিচয় দিতে অপরাগতা প্রকাশকারী পিতা।
মঙ্গলবার(৪ এপ্রিল) জগতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির সাবেক ছাত্রী শিরিন সিফা সোনিয়াকে সম্প্রতি অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে এনে ওই ছাত্রীর পিতা চক্রা গ্রামের অধিবাসী মো.সেলিম মিয়া বাদী হয়ে কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ এলাহী সুবাসসহ ৭জনকে আসামী করা হয়। মামলার আসামী হিসেবে ওই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো.আব্দুল হান্নান (৩৮) কে গ্রেফতার করে বুধবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে মামলার সত্যতা স্বীকার করে তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মো.শামছুল হক জানান, স্কুল ছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।
তবে মামলার অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ এলাহী সুবাস মোবাইল ফোনে নিজেকে শতভাগ নির্দোষ দাবি করে বলেন,‘এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এর আগের এক প্রতিবেদনে জানা যায়,‘মেয়েটির বাবাকে যখন আশ্রয় দেয়ার জন্য বলা হয় তখন তিনি গণমাধ্যমকে বলেন,‘সে আমার মেয়ে নয়,আমার অবাধ্য হয়ে সে বেপরোয়া চলাফেরা করছে,‘আমি তাকে ছিনতে রাজি না।’
অপর দিকে উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.রইজ উদ্দিন চৌধুরী মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
পিতা মেয়েটিকে আশ্রয় না দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করায় বিষয়টি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।