হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে বিক্ষোব্ধ জনতার থানা ঘেরাও
কচুয়া প্রতিনিধি ঃ
কচুয়া উপজেলার বড়দৈল গ্রামের অধিবাসী ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন (৬৫) কে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম বাদী হয়ে ৬জনকে আসামী করে এ মামলাটি দায়ের করেন। যার নং- ০৩/১৫। মামলার পেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা সাচার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মোঃ মোবারক হোসেন ওই মামলার আসামী হিসেবে একই উপজেলার আতিশ্বর গ্রামের নুরু মিয়ার পুত্র যুবলীগ নেতা চাঁন মিয়া (৪০) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামীলীগ নেতা জয়নাল আবেদীনকে মোবাইলে ফোন দিয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ে কয়েকজন লোক বাড়ীর দক্ষিণ পাশে ডেকে নিয়ে যায়। ঘন্টা খানেক পর জয়নাল আবেদীন খুন হয়েছে বলে তার স্ত্রীর মোবাইলে জানিয়ে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ দিকে গত রবিবার বেলা ১১টায় আওয়ামীলীগ নেতা জয়নাল আবেদীনের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে বড়দৈল ও আশেপাশের গ্রাম থেকে কয়েক’শ ক্ষুব্ধ জনতা কচুয়া থানা ঘেরাও করে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। পরে থানার নবাগত ওসি মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল নিহত জয়নাল আবেদীনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে আশ্বস্ত করলে ক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে। কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জনতা কর্তৃক থানা ঘেরাওয়ের ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলার আসামী হিসেবে চাঁন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে। অপর দিকে গত রোববার বিকেলে এসআই মোবারক হোসেন বড়দৈল গ্রামে স্থানীয় লোকজন ও নিহত পরিবারের সাথে ঘটনার বিষয়ে বিভিন্ন খোজ খবর ও স্বাক্ষীদের সাথে কথা বলেন।
কচুয়া-১ ঃ আওয়ামীলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে ক্ষুব্ধ জনতার বিক্ষোভ মিছিল।
কচুয়া-২ ঃ কচুয়ায় নিহত আওয়ামীলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে ক্ষুব্ধ জনতাকে বুঝানোর চেষ্টা করছে কচুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল।