চাঁদপুর নদীতে ধরা পড়তে শুরু করেছে ইলিশ। দীর্ঘ অপোর পর জেলেরা তাদের কাঙ্খিত নাগারে পৌঁছতে পেরেছে। গত দু’তিন মাস ধরে চাঁদপুর মাছঘাট ছিলো ইলিম শূন্য কিন্তু এখন তার বাস্ত চিত্র পরিবর্তন হয়েছে।
মাছঘাটে গেলে দেখা যাবে মেঘনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ। চাঁদপুর ছাড়াও দেশের দণিাঞ্চলের ভোলা, চরফ্যাশন, দৌলতখান, হাতিয়া, রামগঞ্জ, শরিয়তপুর ও নোয়খালীর জেলার নিম্নাঞ্চল থেকে প্রতিদিন চাঁদপুর আড়তে মণে মণে ইলিশ আসছে। আর এসব ইলিশ প্রক্রিয়াজাত করে পৌঁছানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে প্রচুর ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। এই মুহুত্বে ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেরাও খুশি। দিন-রাত উপো করে জাল ও ট্রলার নিয়ে জেলেরা পাড়ি দিচ্ছেন নদীর গহিণে।
ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ শিকার করে ঘাটে ফিরছেন ভরপুর আনন্দ নিয়ে। ইলিশ বিক্রির টাকা দিয়ে তারা পরিশোধ করছেন মহাজনের দাদনের টাকা।
চাঁদপুর মৎস্য বিভাগ তথ্য সূত্রে, জলবায়ু ও নদ-নদীর পানি প্রবাহের তারতম্যের কারণে ইলিশ ধরা পড়ার মৌসুমও অনেকটা বদলে গেছে। এ কারণে জেলার পদ্ম-মেঘনায় ভরা মৌসুমেও তেমন ইলিশের দেখা মিলেনি। তাই হয়ত অসময়েও চাঁদপুর নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়তে পারে ইলিশ।
এদিকে পাইকারি বাজারে ইলিশের দাম এখনো কমেনি। চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো আড়ৎ জুড়ে ইলিশ আর ইলিশ। বড় সাইজের এসব ইলিশ দেখে অনেকেরই ইলিশ না কিনা পর্যন্ত মন ভরবে না।
দেড় কেজী ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫ শ’ থেকে ১৮শ’ টাকায়। আর এক কেজী ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকায়।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী ও জেলেরা জানান, গত ২ থেকে ৩ দিন ধরে চাঁদপুরে মাছঘাটে ভরপুর মাছ আসতে শুরু করেছে। জেলে থেকে শুরু করে আড়ৎ ব্যবসায়ী সবাই খুশি। আর এই ইলিশের দামও নাগালের মধ্যে না থাকলে পরে অনেকটাই কমে আসবে।
ব্যাবসায়ীরা আরো জানান, ইলিশের দামের বিষয়টা শুধু আমদানরি উপর নির্ভরশীল। এখানকার বড় সাইজের ইলিশ চলে যায় ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, জামালপুরসহ বিভিন্ন জেলাতে এখান থেকে মাছ আমদানী করা হয়।