পাবনা সদরে দলের কর্মী আমিরুল ইসলামকে (২৭) গুলি করে হত্যার প্রতিবাদ এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের ও বিচার দাবিতে নিহতের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টার দিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করলে মরদেহবাহী করিমনসহ তারা বিক্ষোভ করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি তসলিম হাসান সুমন, নিহতের বাবা মন্তাজ ব্যাপারী, ভাই আল আমিন, স্ত্রী রিনা খাতুনসহ আত্মীয়স্বজন, এলাকাবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীরা।
নিহত আমিরুল ভাঁড়ারা ইউনিয়নের কাথুলিয়া গ্রামের মন্তাজ বেপারীর ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন তিনি।
জানা যায়, বিক্ষোভে স্থানীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়া হয়। তার নেতৃত্বেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন।
এলাকাবাসী জানায়, এলাকায় বালু ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমিরুলের সঙ্গে বিরোধ চলছিল প্রতিপক্ষের। রোববার হঠাৎ আমিরুল ইসলামকে তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পাবনা সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ বলেন, রোবাবর রাতে একদল যুবক আমিরুলকে তিনটি গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও মামলা করা হয়নি। কারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।