ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
প্রায়াই বছরেও সন্ধান পায়নি ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের রুবেল রানার। এ গ্রামের খলিফা বাড়ির মুদি ব্যবসায়ী আবুল কালামের বড় ছেলে ত্রিশ বছর বয়সী রুবেল রানা (জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ১৩১৪৫৭৭৯৬৪৪৯৮, জন্ম তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৬) ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে আকস্মিকভাবে নিখোঁজ হন। এরপর থেকে তার আর কোনো সন্ধান মিলেনি।
রাজধানী ঢাকার ২৪৮নং দণি যাত্রাবাড়ির সামাদ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় আলীফ জুয়েলার্স নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো রুবেলের। ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রুবেল তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁতীবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর থেকে তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে তার ছোট ভাই রাসেল জানায়। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও (০১৯১১৮৬৫৫৩২ ও ০১৭৪৩০৬০৩৪৫) নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে রুবেলের পার্শ্ববর্তী মা জুয়েলার্সের মালিক মাহবুব হোসেন যাত্রাবাড়ী থানায় নিখোঁজের পরদিন একটি সাধারণ ডায়েরী (নং-১৪৬৫,তাং ২২.০৯.২০১৪খ্রিঃ) করেন। যা তৎসময়ে ওই থানায় কর্মরত এসআই আরশাদ হোসেন তদন্ত করেন।
এছাড়া ২৬.০৯.২০১৪খ্রিঃ তারিখে যাত্রাবাড়ির ধলপুরে অবস্থিত র্যাব-১০-এর অধিনায়ক বরাবর নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান চেয়ে একটি আবেদন করেছিলেন মাহবুব, যার নং-১৩৭২। র্যাব-১০-এর কাছে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয় রুবেলের ব্যবহৃত মোবাইলে সে নিখোঁজ হওয়ার পূর্বে ০১৭১১৯৩৮১৭৪ নম্বর থেকে একটি ফোন এসেছিল। সেই ফোনের সূত্র ধরে তাকে সন্ধান করা যেতে পারে। কিন্তু অদ্যাবধি সন্ধান মেলেনি তার। সে আজো বেঁচে আছে কি-না তাও জানে না তার পরিবার।
নিখোঁজ রুবেলের ছোট ভাই রাসেল জানান, তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে রুবেল দ্বিতীয়। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর রুবেল ঢাকাতে চলে যায়। এরপর একটি জুয়েলারীতে কাজ শেখে। পরে নিজেই যাত্রাবাড়ি সামাদ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় আলীফ জুয়েলার্স নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেন। বাবা-মাসহ পরিবারের সবাই বাড়িতেই থাকতেন। মাঝে মাঝে বাড়িতে আসতো রুবেল। ২০১২ সালের মাঝামাঝিতে পার্শ্ববর্তী রামগঞ্জ উপজেলার শেফালীপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে লিপি আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রী লিপি আক্তার রুবেলদের বাড়িতে থাকলেও রুবেল নিখোঁজ হওয়ার পর লিপিও তার পিত্রালয়ে চলে যায়। রুবেলের ফিরে আসার অপোয় প্রহর গুণে চলেছেন মমতাময়ী মা কুহিনুর বেগম।