অনলাইন ডেস্ক :
আজ ১৮ই ডিসেম্বর। আন্তর্জাতিক আরবি ভাষা দিবস। প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর এ দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৩১৯০ নং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই দিনে বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কারণ ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক ভাষা এবং জাতিসংঘের দাপ্তরিক কার্যক্রম সমূহের ব্যবহারিক ভাষা হিসেবে গৃহিত হয়। যা সৌদি আরব ও মরোক্কো সরকারের “ইউনেস্কোর ১৯০ তম কার্যকরী নির্বাহী অধিবেশন” এ প্রস্তাবের পর গৃহিত হয় । (সুত্রঃ উইকিপিডিয়া)
অন্যদিকে সেমেটিক ভাষাগোত্রের মাঝে অনন্য এক অবস্থান নিয়ে আছে আরবী ভাষা। শুধু সেমেটিক ভাষাগোষ্ঠিই নয়, পৃথিবীর সকল ভাষার মাঝে আরবী ভাষার রয়েছে সবচেয়ে উচ্চ ও উন্নত আসন। তাই বলা যায় আরবী ভাষা কালজয়ী ভাষা। কালের প্রবাহ কখনো এর মৌলিক বৈশিষ্ট্যকে ক্ষুণ্ণ করতে পারেনি। এই ভাষা স্থিতিশীল ও গতিশীল। পৃথিবীর সকল ভাষাতেই কোনো না কোনো সময় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। কিন্তু আরবী ভাষা আল্লাহর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় রয়েছে অপরিবর্তনীয় ও অবিকৃত।
পৃথিবীর প্রায় ২৮ কোটি জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা আরবি। আর ২৫ কোটি মানুষ আরবিকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। ২৫টি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের দাপ্তরিক ভাষা আরবি। জাতিসংঘের ৬টি দাপ্তরিক ভাষার একটি আরবি। তাই যুগ ও বাস্তবতার নিরিখে আরবি ভাষা বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী একটি ভাষা।
অর্থনৈতিক বিবেচনায়ও আরবি ভাষা বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অর্থনীতির অন্যতম শক্তি ধরা হয় রেমিটেন্স। আর এ রেমিটেন্সের সিংহভাগই অর্জিত আরবি ভাষার দেশসমূহ থেকে। তাই দেশের রেমিটেন্স বাড়ানোর স্বার্থে, দেশের অর্থনীতিকে আর চাঙা করার স্বার্থে, দেশের আয় ও উন্নতির স্বার্থে আরবি ভাষাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গুরুত্ব দেওয়া দরকার।