মানিকগঞ্জে সদর উপজেলায় প্রথম শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৪ বছরের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ মে) ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ওই অভিযুক্ত কিশোর।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ মে) রাতে নিজ বাড়ি থেকে ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তার কাছ থেকে ওই শিশুর কানের দুল ও গলার হার উদ্ধার করা হয়।
মামলার এজাহার এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ওই শিশুটি প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত শুক্রবার (২১ মে) দুপুরের পর বাড়ি থেকে খেলাধুলা করতে বাড়ির বাইরে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। পরদিন দুপুরে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একটি কাঠবাগানের ভেতর গলায় গামছা পেঁচানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় ওই শিশুর মরদেহ। এ ঘটনায় শিশুটির নানা বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয়ের কয়েকজনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন এবং অপরাধ) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিবেশীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। সে সময় ওই কিশোর পুলিশের কাছে ও আদালতে স্বীকার করে যে, সে ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে। রক্তাক্ত অবস্থা ও ধর্ষণের ঘটনা বাড়িতে বলে দিতে পারে এই শঙ্কায় শিশুটিকে গলাটিপে হত্যার পর গামছা দিয়ে মরদেহ গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এরপর গলায় থাকা রূপার হার ও কানের সোনার দুল বাড়িতে নিয়ে আলমারিতে রেখে দেয়। জিজ্ঞাসাবাদে কিশোর বাড়ির আলমারি থেকে দুল ও হার বের করে দেয়।
দুপুরে ওই কিশোরকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকের নির্দেশে টঙ্গীর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান।শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জে সদর উপজেলায় প্রথম শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৪ বছরের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।