আমার কণ্ঠ রিপোর্ট-
চাঁদপুর-৫ হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি নির্বাচনী এলাকার জাতীয় সংসদ সদস্য, মুক্তি যুদ্ধের ১ নং সেক্টর কমান্ডার ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সংদসীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর অব রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম বলেন নাম মাত্র সংগঠন হলে চলবে না। সংগঠনকে প্রত্যেক ওয়ার্ডে ছড়িয়ে দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যেমন ঐক্য ছিল হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগকে ঐক্য বদ্ধভাবে কাজ করেতে হবে। এ যুবলীগের নেতাকর্মীরা যেন আগামী যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়তে পারে। যে আদর্শ নিয়ে আমরা মুক্তি যুদ্ধ করেছি সে আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। তাহলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বাস্তবায়ন হবে।
তিনি বলেন ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন সাংবিধানিক ভাবে সঠিক ছিল, আাগামী ২০১৯ সালের আগে এ দেশে কোন নির্বাচন হবে না। যারা স্বপ্ন দেখেন তারা শুধু স্বপ্নের মধ্যে থাকবেন। এবং ভুল স্বপ্ন দেখে লাভ হবে না। আন্দোলনের নামে কেউ সহিংসতা করলে এবং সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি করলে ছাড় দেয়া হবে না। মৌলবাদীরা রাজনীতির নামে মানুশ খুন করছে এবং ইসলাম ধর্মের নাম ব্যবহার করে বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। মৌলবাদী শক্তিকে দমন করতে হলে যুবলীগকে আর শক্তিশালি হতে হবে।
গতকাল হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের উদ্যেগে যুবলীগের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে স্মরণকালের বিশাল বণ্যাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন। উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জহিরুল ইসলাম মামুনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ ইকবালের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির আহবায়ক হারুন আল মানচুর কাঞ্চন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাতি আলহ্জা হেলাল উদ্দিন মিয়াজি, সাধারণ সম্পাদক গাজী মোঃ মাঈনুদ্দিন, শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহবুব উল আলম লিপন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ খসরু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, মোঃ আলী মাঝি, বাবু ঝন্টু দাস, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সত্য ভন্দ্র মিঠন, শহর আওয়ামীলীগের সদস্য আহসান হাবিব অরুনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবাষির্কীকে উপলক্ষে বণ্যাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভায় দুপরের পর থেকে উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন ইউনিট থেতে ব্যানার নিয়ে দলে দলে মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে। বেলা ৪্টার মধ্যে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার কানায় কানায় ভরে যায়। জেলা উপজেলা নেতাকর্মীরা পশ্চিম বাজার থেকে র্যালী নিয়ে পূর্ব বাজার হয়ে আবার পশ্চিম বাজার সভারস্থলে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মীর উপস্থিত ছিলে।