শাহরাস্তি সংবাদদাতা ॥
শাহরাস্তির রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামের ১ প্রবাসীর স্ত্রীর ইজ্জতের মূল্য ২৫ হাজার টাকা আদায় করে ইউ.পি সদস্য, যুবলী নেতা মোঃ শাহজাহান ও তার ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাচ্চুসহ গ্রাম্য মাতাব্বররা শালিশ বৈঠকের নামে লক্ষাধিক টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রঘুরামপুর এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও বাড়ীর লোকজন জানায়, গত ১২ অক্টোবর রবিবার রাত দেড়টায় রঘুরামপুর গ্রামের রাজবাড়ীতে (প্রকাশ বল্লার বাড়ী) এঘটনা ঘটে। ওই দিন গভীর রাতে ওই বাড়ীর প্রবাসী সবুজ মিয়ার স্ত্রী দু’সন্তানের জননী খোদেজা বেগমের সাথে তার বসত ঘরের পার্শ্ববর্তী মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাংলাইশ গ্রামের কোরবান আলীর পুত্র সিএনজি চালক নূরুল ইসলামের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ শাহজাহানের নেতৃত্বে ও তার বড় ভাই একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ বাচ্চু, টেইলার্স সুমন বেশ কয়েকজন মাতব্বরের দূুরদর্শীতায় প্রায় ১ লক্ষাধিক টাকার অর্থ বাণিজ্য ঘটে। গ্রাম্য মাতব্বরদের অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে শুরু হয় বাকবিতন্ডা। আর এতেই ঘটনাটি পুরো এলাকা ছড়িয়ে পড়ে।
সরেজমিন প্রতিবেদনে এ ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় মেম্বার ও শালিশ বোর্ডের সভাপতি মোঃ শাহজাহান মেম্বার বলেন সিএনজি ড্রাইবার নূরুল ইসলামের কাছে হাওলাতী টাকা পেত সুরুজের স্ত্রী খোদেজা বেগম। আর তাতেই নূরুল ইসলাম খোদেজার ঘরে এসেছিল। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন রাত ১ টায় খোদেজার ঘরে ঢুকে সিএনজি চালক নূরুল ইসলাম। স্থানীয় এলাকার লোকজন খোদেজার ঘরে নূরুল ইসলামকে আটক করার পর আমরা পাওনা টাকা আদায় করে দেই। এ ঘটনায় খোদেজা বেগম ও নূরুল ইসলামের কাছ থেকে একটি লিখিত স্ট্যাম্প রাখা হয়। শালিশের অর্থ বাণিজ্যের বিষয়ে শাহজাহানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন মেম্বার যখন হয়েছি, তখন টাকা পয়সাতো কিছু খেতেই হবে। সবাইতো খায়, আমরা খেলেই অপরাধ।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ বাচ্চু বলেন, ঘটনাটি আমার নিজ বাড়ীর। তাই মান সম্মানের কথা চিন্তা করে নিজেরাই বিষয়টি শেষ করেছি।
এ বিষয়ে টেইলার্স সুমনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, তিনি সম্পর্কে আমার চাচী হন। এর বেশী কিছু আমি বলতে পারবো না। আমার সাথে কথা বলতে হলে আগে থেকেই ফোন করে আসবেন। এর বেশী কিছু আমি বলতে পারবো না।