বাংলা প্রেস, নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনস্যুলেট অফিস থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি চুরির ঘটনায় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও নিউইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তারা কনস্যুলেট অফিস পরিদর্শন করেছেন। মঙ্গলবার স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর চার কর্মকর্তা কনস্যুলেট অফিস পরিদর্শনকে শেখ হাসিনার ছবি চুরির ঘটনার প্রাথনিক তদন্ত বলে ধারনা করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও নিউইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তারা ম্যানহাটনের ৩৩ স্ট্রিটে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস পরিদর্শনে আসেন। কর্মকর্তারা কনস্যুলেট অফিস পরিদর্শনকালে কনসাল জেনারেল শামীম আহসান, ডেপুটি কনসাল জেনারেল শাহেদুল ইসলামসহ কনস্যুলেটের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এ সময় স্টেট ডিপার্টমেন্টের স্পেশাল এজেন্ট মাইকেল লেগিন ও মেগান মুলারিন, ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চের প্রতিনিধি সিকোনলফি ডেরেক এবং টেরোরিস্ট ইন্সিডেন্ট প্রিভেনটিভ ইউনিটের কর্মকর্তা নেগাই ওং উপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তারা ভবন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেন এবং ভবনের নিজস্ব ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চান। দুয়েক দিনের মধ্যে বিল্ডিং কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ তদন্তকারী কর্মকর্তাদের হাতে দেবেন বলে জানা গেছে।
কনসাল জেনারেল শামীম আহসান বলেন, “সরকার কিংবা কনস্যুলেটকে হেয় করার জন্য যারা এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ করেছেন, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হলে তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
গত ২৩ মে শুক্রবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে ম্যানহাটানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসে টাঙানো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিটি হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। এ সময় কনসাল জেনারেল শামীম আহসান অফিসের কাজে বাইরে ছিলেন। দ্রুত বিষয়টি ডেপুটি কনসাল জেনারেল শাহেদুল ইসলামকে জানানো হয়।
পরে স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ হোম ল্যান্ড সিকিউরিটিকে বিষয়টি জানানো হয়। ওইদিন ভবনের পেছনে ভাঙা অবস্থায় ছবিটি পাওয়া যায়। সাপ্তাহিক ছুটি ও মেমোরিয়াল ডে’র সরকারি ছুটি শেষে স্টেট ডিপার্টমেন্টের অধীনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও নিউইয়র্ক পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা মঙ্গলবার ঘটনার তদন্ত শুরু করে।