ইরাকের কুর্দিস্তানে মার্কিন কনস্যুলেটের কাছে ইরানের মিসাইল হামলার পর এই ম্যাকেঞ্জি মন্তব্য করেন বলে রোববার আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
পেন্টাগনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ম্যাকেঞ্জি বলেন, গত ছয়মাসে ইরান বেশ কয়েকবার মার্কিন বাহিনী এবং স্থাপনায় আক্রমণ করেছে। তবে ‘সেখানে মোতায়েন মার্কিন কমান্ডারদের অত্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ’ এর কারণে মার্কিন প্রাণহানি ঠেকানো গেছে।
যদিও ম্যাকেঞ্জি ও অন্য মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, গত রোববার মার্কিন কনস্যুলেটের কাছে আঘাত হানা ইরানের ওই মিসাইলের লক্ষ্য কনস্যুলেট ছিল না। ইরানও দাবি করেছিল ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ‘গোপন ইসরাইলি ঘাঁটি’ লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে।
সিরিয়ায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের দুই কর্মকর্তা নিহত হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পর রোববার ইরবিলে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ইরানের বিপ্লবী গার্ডের দুই কর্মকর্তা নিহতের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র বলে পরিচিত ইসরাইলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলে ইরান।
ওই ঘটনার পর ইরানের বিপ্লবী গার্ড সতর্ক করেছিল যে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের চিরশত্রু ইসরাইলকে ‘এই অপরাধের মূল্য দিতে হবে’।
এ ব্যাপারে ম্যাকেঞ্জি বলেন, আমার ধারণা এটা একদম স্পষ্ট যে ইরানের হামলার মুখোমুখি হলে ইসরাইল আত্মরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেবে। আর ইরানও ইসরাইলকে ধ্বংসের জন্য বদ্ধপরিকর।
তবে ইরান ও ইসরাইলের এই পালটা-পালটি মনোভাব নিয়ে চিন্তিত জানিয়ে তিনি বলেন, আমি ইরান এবং ইসরাইলের এই পালটা-পালটি মনোভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ অনেক সময় এই কারণে আমাদের বাহিনী ঝুঁকিতে থাকে, তা ইরাক বা সিরিয়া যেখানেই হোক না কেন। সেই বিষয়টিই আমার উদ্বেগের কারণ।