সম্পাদকীয়-
আজ ২ নভেম্বর জে এস সি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জামাতের হরতালের কারণে কর্তৃপক্ষ পরিক্ষা পিছাতে বাধ্য হল। ভবিষ্যৎ জীবনে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যাওয়ার প্রাথমিক ধাপ বলা হয় এই পরীক্ষাকে। কারন আগামীতে এই সার্টিফিকেটের গুরত্ব হবে বর্তমানের এসএসসি সার্টিফিকেটের মত। তাই শিক্ষার্থীদের ভালভাবে পরীক্ষা দিয়ে এই ধাপ অতিক্রম করতে হবে।
শিক্ষাক্ষেত্রে অষ্টমশ্রেনী পর্যন্ত প্রাথমিক লেভেল, ইন্টারমেডিয়েট পর্যন্ত মাধ্যমিক লেভেল, পরবর্তীস্তরকে উচ্চতর স্তরে বিভক্তকরে শিক্ষাব্যবস্থাকে সাজানো সরকারের সময়োপযোগী এবং উপযুক্ত সিদ্ধান্ত। সেই সাথে গ্রেডিং পদ্ধতির প্রর্বতন এবং সৃজনশীল পদ্ধতির উদ্বোধনী সিদ্ধান্ত ও প্রসংশনীয়। তবে সৃজনশীল পদ্ধতির সাথে কিভাবে শিক্ষার্থীরা এডজাস্ট করবে তার জন্য প্রথমে শিক্ষকদেরকে অধিকতর ট্রেনিং দিয়ে প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে। তাহলে শিক্ষকেরা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সৃজনশীল পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটিয়ে তাদের মেধার সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে পারবে।
আমরা আশা করি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীসহ শিক্ষামন্ত্রীর সতর্ক নজরদারী, শিক্ষাপ্রশাসনের কঠোর তদারকী, শিক্ষকদের শিক্ষাদানের প্রতি মনোযোগ ও আন্তরিকতা বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করবে। তবে সেই সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের পিতা-মাতাকে তাদের পড়াশুনার প্রতি সচেতন হতে হবে। শিক্ষকদের বেতনভাতার বিষয়টি ও সরকারকে আমলে নিতে হবে।
সৃজনশীলতাকে কেন্দ্রকরে একশ্রেনীর ব্যবসায়ী বাজারে বহুমাত্রিক বই বের করে শিক্ষার্থীদের ব্রেনকে বিকৃতশীল করার কাজে লিপ্ত। তাই শিক্ষকদেরকে অবশ্যই ক্লাসে অধ্যয়ন কালে টেক্সট বইয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে পড়াতে হবে এবং বাজারের বহুমাত্রিক সৃজনশীল নোট বইয়ের প্রতি নিরুৎসাহিত করতে হবে। কারন এসব বইয়ের উপর নির্ভরশীল হলে তারা পড়ার ট্রেন্ড হারিয়ে ফেলবে এবং পরীক্ষা ভাল ফলাফল করতে পারবে না। আবার সরকারকে ও এসব বই প্রকাশের অনুমতি দান থেকে বিরত থাকতে হবে।
পরীক্ষা শুরুর দিনই হরতাল যা শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগে ফেলে। তাই বিরোধী রাজনৈতিক দলকে পরীক্ষার সময়ে ভেবে চিন্তে কর্মসূচী দেওয়ার অনুরোধ করব। শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠ পরিবেশে সুন্দরভাবে পরীক্ষা শেষ করে ভবিষ্যৎ জীবনে নিজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রথম ধাপ অতিক্রম করতে পারে সেই জন্য তাদের প্রতি রইল শুভেচ্ছা।