৩৪ বছর বয়স হয়েছে জুলিও সিজারের; খেলেছেন দুটি বিশ্বকাপ। এখনও জাতীয় দলের জন্য ফিট আছেন তিনি। ব্রাজিল গোলরক্ষক চাইলে খেলে যেতে পারেন আরও একটি বিশ্বকাপ। কিন্তু সমালোচকরা বলেছিলেন সিজারকে বাদ দেয়া হোক। কারণ সিজার নাকি আগের মতো নড়াচড়া করতে পারেন না। তাই তরুণ কাউকে দলে রাখার পরামর্শ দেয়া হয় লুইস ফিলিপ স্কোলারিকে, কিন্তু স্কোলারির আছে নিজস্ব পরিকল্পনা। লোকের কথা শুনতে নারাজ স্কোলারি। তাই বিগ ফিলের ভরসা ওই সিজারেই। গোলপোস্টের নিচে সিজারকে এক নম্বর রেখে দল সাজিয়েছেন স্কোলারি।
এখন নিজের ওপর কোচের এ আস্থার প্রতিদান দিতে চান সিজার। তা যে কোনো মূল্যেই হোক। সমালোচকদের মিথ্যা প্রমাণ করতে চান এ গোলরক্ষক। সাবেক ইন্টার মিলান তারকা জানান, বিশ্বকাপের জন্য তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত, ‘ব্রাজিল দলে আমার থাকা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ব্যাপারটা আমার কানেও এসেছে। কিন্তু তাদের বলতে চাই_ আমি এখনও ফিট। জাতীয় দলে খেলার মতো সব সামর্থ্যই আছে। হয়তো বর্তমানে ভালো কোনো ক্লাবে খেলছি না, কিন্তু বিশ্বকাপ আসরে নিজেকে প্রমাণ করতে পারব। আসলে কোচের আস্থার প্রতিদান দিতে চাই। বিশ্বকাপ শুধু একটি টুর্নামেন্ট নয়, ব্রাজিলের জন্য এটি বিরাট কিছু। এ আসরের মূল দলে স্কোলারি আমাকে রেখেছেন। এর প্রতিদান না দিলে ঠিক হবে না।’
জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিতই খেলছেন সিজার। গত কনফেডারেশন্স কাপে দারুণ পারফর্মও করেছেন তিনি। গ্রুপ পর্বে দুটি অসাধারণ শট ঠেকান। আর সেমিফাইনালে উরুগুয়ের ফরোয়ার্ড দিয়েগো ফোরলানের পেনাল্টি ঠেকিয়ে ব্রাজিলকে এনে দেন ফাইনালের টিকিট। সেদিন ম্যাচসেরাও হন সিজার। সেই সিজারের ওপর আস্থা রেখেই এবার দল গুছিয়েছেন স্কোলারি।