আমার কণ্ঠ রিপোর্ট
চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে আমি পছন্দ করি। গতানুগতিক কাজতো সবাই করে, আমিও করি। তারপর পৌরবাসীর সহযোগিতা নিয়ে চেষ্টা করি আলাদা কিছু করার জন্য। কারন ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। যেটুকু সময় পাই, এই সময়ে মেয়র নয়, সেবক হিসেবে পৌরবাসীর সেবা করতে চাই। কথাগুলো বললেন হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আসম মাহবুব উল আলম লিপন। মঙ্গলবার হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ড টোরাগড় নতুন মৃধা বাড়ির মাটি ও প্যালাসাইডিং দ্বারা নতুন রাস্তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পৌরসভার চলমান ৩৩ বছরেও নয়, দীর্ঘ ৮০বছর পর এই প্রথমবারের মতো রাস্তা পেলেন ঐ বাড়ির প্রায় ২’শ সদস্য। এ সময় তারা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং মেয়রকে জড়িয়ে ধরে দোয়া করেন। মেয়র উপস্থিতির উদ্দেশ্যে বলেন, চেষ্টা করছি আপনাদের সেবা করার জন্য। কতটুকু করতে পেরেছি আপনারাই ভালো জানেন। দোয়া করবেন ভবিষ্যতে যেন আপনাদের পাশে থাকতে পারি। আপনাদের হয়ে কাজ করতে পারি। পৌরসভা থেকে রাস্তা করে দেয়া হয়েছে। এখন আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে রক্ষনা-বেক্ষন করা। নিয়মিত রক্ষনা-বেক্ষন করলে যে কোন সম্পদের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়।
শহর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আহসান উল্যাহ্ মৃধার সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আসম মাহবুব উল আলম লিপন দৃষ্টি আকর্ষন করলে, তিনি ঐ বাড়ির জাহাঙ্গির মৃধার ঘরে যাওয়ার পথের রাস্তা নির্মাণে তাৎখনিক নির্দেশনা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বদরপুর দরবার শরীফ মসজিদের ইমাম মোঃ সত্তর মৃধা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পৌর ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ এমরান হোসেন মুন্সী, সহকারি প্রকৌশলী (সিভিল) মোঃ ইদ্রিস মিয়া, শহর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ¦ কাজী কবির হোসেন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রাধাকান্ত দাস রাজু, জেলা যুবলীগের সদস্য সোহাগ আহমেদ মাইনু, বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী ও সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ রেজাউল কবির তালুকদার, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত বেপারী, সদস্য সত্তর মজুমদার, ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কাজী মোঃ মনির হোসেন, শহর যুবলীগের সদস্য আরিফ মজুমদার, ৭নং ওয়ার্ড সদস্য খোকন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, হাজীগঞ্জ মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মোঃ শাহজাহান তালুকদার ও শহীদ উল্যাহ্ মৃধা, এলাকার গন্যমান্য মন্নান মৃধা, মোঃ শহিদ উল্যাহ, মোস্তফা মৃধা, ফিরোজ মৃধাসহ শহর, ৭ ও ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ও নতুন মৃধাবাড়ির পরিবারের অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।