ঢাকা: নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেকদিন ক্রিকেটের বাইরে থাকায় সাকিব আল হাসান টেস্ট অলরাউন্ডারের শীর্ষস্থান হারিয়েছেন। তাকে সরিয়ে শীর্ষে উঠেছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার রবিচন্দ্র অশ্বিন। শনিবার মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফিরে সাকিব আবারও প্রমাণ দিলেন, সত্যিকারার্থে তিনিই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। মাত্র ৫৯ রান খরচায় জিম্বাবুয়ের ছয়জন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট অহংকার। বিসিবির নিষেধাজ্ঞার কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যেতে পারিনি সাকিব। তবে মিরপুরে বুঝিয়ে দিলেন, কেন তিনি বিশ্বসেরা। বিসিবিকেও বোলঝালেন, দলে আসলে তার গুরুত্ব কতটুকু। বিসিবি নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পূনরায় জাতীয় দলে ডাকেন সাকিবকে। শুধু দলে ফেরানোই নয়। উপহার হিসাবে ওয়ানডেতে সহ-অধিনায়কের দায়ীত্বও দেয়া হয় তাকে। অবশেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলে ফিরেই জ্বলে উঠলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাকিবের স্পিন জাদুতে ২৪০ রানেই গুটিয়ে গেলো জিম্বাবুয়ে। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে পেসার শাহদাত হোসের প্রথম বলেই চার মারেন ওপেনার ভুসিমুজি সিবান্দা। অবশ্য একই ওভারের পঞ্চম বলেই তাকে সাজঘরে পাঠান শাহাদাত। টস জিতে ব্যাট করতে নেমেই অভিজ্ঞ পেসার শাহাদাত হোসেন ও সাকিব আল হাসানের জোড়া আঘাতের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। এরপর অভিষেক টেস্টেই পর দুই উইকেট নিয়ে চমক সৃষ্টি করেন জোবায়ের। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক টেলর ও সিকান্দার রাজাকে সাজঘরে ফেরান তরুণ এ লেগ স্পিনার। মিরপুর টেস্টর প্রথম দিনের বাকিটা সময়টা ছিল সাকিবের দখলে। টেস্ট ক্রিকেটে এখন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ উইকেট পেলেই ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া ছাড়া বাকি আটটি দেশের বিরুদ্ধেই সাকিবের একই ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়া হয়ে গেছে। মূলতেঃ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এখনও টেস্টই খেলা হয়নি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৬ রানে ৭ উইকেটই তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। এছাড়া তিন বার ৬ উইকেট শিকার করেন জিম্বাবুয়ে,পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। আর ভারত,ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নেন পাঁচটি করে উইকেট।