জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া ॥
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার কানড়া নামকস্থানে পিকআপ ও বাসের মুখোমখী সংঘর্ষে নিহত হয় কচুয়ার ৩ মৎস ব্যবসায়ী। দু’জন গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মৎস ব্যবসায়ী আবুল কালাম ওরফে কালা মিয়ার জানাযা চলছিলো। জানাযা অনুষ্ঠানে কয়েক’শ মুসল্লির সামনে দিয়ে তার অবুঝ সন্তান দিদার হোসেন (৫) ছুটা ছুটি করছে। সে জানেনা তার বাবার শেষ জানাযা চলছে। একবার এদিক আরেকবার ওইদিন ছুটা ছুটিতেই ব্যস্ত সে। দিদার কে তোমার বাবা কোথায় জিজ্ঞাস করা হলে সে বলে বাবা ঘুমিয়ে আছে। তার এ কথা শুনে অবাক হয়ে যায় উপস্থিত জনতা। অবুঝ এই শিশুটি জানেনা তার বাবা চিরতরে তাকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে। এভাবেই একে একে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কচুয়া উপজেলার আইনপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান পাঠানের ছেলে আবুল কালাম (২৮), নাহারা গ্রামের শামসুল হকের ছেলে ইউসুফ মিয়া (৪০) ও তেতৈয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মনির হোসেন (৩৫) এর জানাযা শেষে স্ব স্ব পারিবারিক কবস্থানে দাফন করা হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে মাছ নিয়ে ঢাকায় যাত্রাবাড়ি আড়তে মাছ বিক্রি শেষে পরদিন বুধবার বিকেলে শেষে ফিরছিলো তারা। পথিমধ্যে দাউদকান্দির গৌরিপুর সংলগ্ন কানড়া এলাকায় আসলে ঢাকাগামী হোমনা-কচুয়াগামী পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আবুল কালাম মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ইউসুফ মিয়া ও মনির হোসেনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষনা করে। এছাড়া এ ঘটনায় কচুয়া উপজেলার আইনপুর গ্রামের সূর্যত আলী পাঠানের পুত্র মাসুদ পাঠান (২৮) ও তেতৈয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র আমির হোসেন (৩২) গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে তেতৈয়া গ্রামের আমির হোসেনের অবস্থা আশংঙ্খা জনক। এদিকে সড়ক দৃর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যসে মাঝে শোকের মাতম বইছে।