আমার কণ্ঠ রির্পোট
হাজীগঞ্জ পৌরসভার সৃষ্টির পর থেকেই নোংরা পানি সরবারহ করে আসছে বলেন অভিযোগ ছিল পৌরবাসীর। পানিতে আয়রণসহ নানা ধরণের জিবানু ছিল। অতীতের চেয়ারম্যান বা মেয়র পৌরবাসী ভোট দিয়ে বানিয়েছেন। কিন্তু পৌরবাসীর জীবন রক্ষা আর্সেনিক মুক্ত বিশুদ্ধ পানি সরবারহ করার কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি। সব চেয়ারম্যান বা মেয়র পৌরবাসীকে স্বপ্ন দেখিয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন করা কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি।
হাজীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আ.স.ম মাহবুব উল আলম লিপন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী গনসংযোগে গেলে পৌরবাসীর প্রথম দাবী ছিল বিশুদ্ধ পানি সরবারহ করা। তিনি বলেছেন আমি মেয়র নির্বাচিত হলে আমার প্রথম পরিকল্পনা হলো আপনাদের প্রাণের দাবী বিশুদ্ধ পানি বাসায় বাসায় পৌছে দিবো। প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর পৌর বাসীর প্রাণের দাবী বাস্তবায়নের জন্য তিনি পরিকল্পা শুরু করেন। সে পরিকল্পনা মোতাবেক প্রথমে জায়গা নিধারণ করলেন হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার মিঠানিয়া ব্রীজে পশ্চিম দক্ষিন পাশের জায়গাতে করা সম্ভব। ২০১৭ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও পৌরসভার যৌথ উদ্যেগে সারফেস ওয়াটার ট্রীটমেন্ট প্ল্যান নামে প্রকল্প গ্রহন করেন। যার ব্যয় মুল্য ধরা হয়েছে ১২ কোটি টাকা। সে মোতাবেক ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে টেন্ডারের মাধ্যমে মের্সাস শামীম ট্রেডার্স (জেভি) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজটি পায়। ১৫ মে ২০১৭ সালে হাজীগঞ্জ পৌরসভা ঠিকাদারকে কাজ শুরু করার কার্র্যাদেশ প্রদান করেন। ঠিকাদার সকল প্রস্তুতি নিয়ে নিমার্ণ কাজ শুরুর দিন নির্ধারণ করেন ২০ জানুয়ারী ২০১৮। ঐ দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে চাঁদপুর-৫ হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি নির্বাচনী এলাকার জনপ্রিয় সংসদ সদস্য মেজর অব রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমকে দিয়ে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আসম মাহবুব উল আলম লিপন ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করান। এর পর থেকেই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও পৌরসভার যৌথ উদ্যেগে সারফেস ওয়াটার ট্রীটমেন্ট প্ল্যান নামে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয় হয়। যেহেতু হাজীগঞ্জ পৌরবাসীর জন্য এটি একটি স্বপ্নের মতো তাই মেয়র লিপন নিজে প্রতি দিন এ কাজের তদারকি করেন। এভাবে নানা ধরণের সমস্যার সমাধান করে প্রায় ৩ বছর পর পৌরবাসীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। ইতি মধ্যে পৌরবাসীর বাসায় বাসায় বিশুদ্ধ পানি সরবারহ করা শুরু হয়েছে। কিন্তু খুটি নাটি সমস্যা সমাধান শেষ হলে রমজান শুরুর আগেই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে পৌরবাসীর বিশুদ্ধ পানির সমস্যা সমাধান হবে।
হাজীগঞ্জ পৌরসভার দুবারের নির্বাচিত মেয়র আ.স.ম মাহবুব উল আলম লিপনের সাথে অফিসে কথা হলে তিনি বলেন,আমি যা বলবো তা আমি করে দেখিয়ে দেই। প্রথম বার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী গনসংযোগে গেলে পৌরবাসীর প্রথম প্রাণের দাবী ছিল বিশুদ্ধ পানি সরবারহ করা। আমি যখন কথা দিয়েছি আপনারা আমাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেন আমি আপনাদের প্রাণের দাবী পুরুন করার চেষ্ঠা করবো। পৌরবাসী আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করার পর আমি প্রথমে প্ল্যান করি পৌরবাসীর প্রাণের দাবী বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করার। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি নির্বাচনী এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর অব রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের সহযোগিতায় শুরু করি নানা পরিকল্পনা। সকল পরিকল্পনা শেষ করে জনসাস্থ্য প্রকৌশল ও হাজীগঞ্জ পৌরসভার যৌথ উদ্যেগে সারফেস ওয়াটার ট্রীটমেন্ট প্ল্যান নামে প্রকল্প গ্রহন করি। সে মোতাবেক ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে টেন্ডারের মাধ্যমে মের্সাস শামীম ট্রেডার্স (জেভি) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজটি পায়। ১৫ মে ২০১৭ সালে হাজীগঞ্জ পৌরসভা ঠিকাদারকে কাজ শুরু করার কার্র্যাদেশ প্রদান করেন।
২০ জানুয়ারী ২০১৮ আনুষ্ঠানিক ভাবে চাঁদপুর-৫ হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি নির্বাচনী এলাকার জনপ্রিয় সংসদ সদস্য মেজর অব রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমকে দিয়ে ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করি। এর পর থেকেই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও পৌরসভার যৌথ উদ্যেগে সারফেস ওয়াটার ট্রীটমেন্ট প্ল্যান নামে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয় হয় সে মোতাবেক দীর্ঘ ৩ বছরের মধ্যে সকল কাজ শেষ করে এখন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে পৌরবাসীর প্রাণের দাবী বিশুদ্ধ পানি সরবারহ করার কাজ। ইতি মধ্যে পৌরবাসীর বাসায় বাসায় বিশুদ্ধ পানি সরবারহ করা হচ্ছে। কিন্তু এখন পরিক্ষামুলক। আশা করি রমজান শুরুর আগেই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে পৌরবাসীর বাসায় বাসায় বিশুদ্ধ পানি পৌছে যাবে। তিনি আরো বলেন পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা আরো বৃদ্ধি করার জন্য আমি দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। পৌরবাসী আমার উপর বিশ^াস রেখে এ নির্বাচনেও আমাকে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত করেছে। আমি পৌরবাসীর বিশ^াস রখবো।