ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি॥
তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নিজের স্ত্রীকে চড় মারায় জের হিসেবে ওই স্বামীকে গাছের সাথে বেঁধে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করলেন এক ইউপি সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কড়ৈতলী গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে। বর্তমানে বেলাল হোসেন নামের ওই লোকটি অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না।
জানা যায়, গত বুধবার সকালে উপজেলার ৮নং ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়ির মরহুম আইয়ুব আলী চৌধুরীর ছেলে বেলাল হোসেন চৌধুরী ও তার স্ত্রী নাছিমা বেগম(৩২)‘র সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বেলাল নাছিমাকে একটি চড় মারেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী নাছিমা বেগম ইউপি সদস্য আলী হায়দার উজ্জলের কাছে মৌখিক নালিশ করেন। স্ত্রীর কথা শুনে তাৎক্ষনিক ওই ইউপি সদস্য গ্রাম পুলিশ মিজানুর রহমানকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। বেলালকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করেই ঘর থেকে টেনে হেঁছড়ে বের করে গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় গাছের সাথে বেঁধে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেই ক্ষান্ত হননি তিনি, এ বিষয়ে কোনো বাড়াবাড়ি বা মামলা না করার হুমকি দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন । বেলাল চৌধুরী জানান, ইতিপুর্বে তিনি বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে মাদক সেবন করলেও, গত বেশ কিছুদিন ধরে এসব ছেড়ে দিয়েছেন। নিয়মিত নামাজ পড়া ছাড়াও তাবলীগ জামাতের সাথে থেকে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছি তিনি যেন আমাকে ওই পথে আর না নেন। তিনি জানান, উজ্জ্বল মেম্বার তাকে জিজ্ঞাসা করা ছাড়াই চৌকিদার দিয়ে ঘরের সামনের আম গাছের সাথে বেধে বেদম মেরেছে। আমি অর্থাভাবে চিকিৎসা ও মারের যন্ত্রনায় বিছানা থেকে উঠতে পারছি না। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আলী হায়দার উজ্জল ঘটনার সত্যতা স্বীকার ও দম্ভ করে জানান, বেলাল চৌধুরী আমার দূর সম্পর্কের আতœীয়, সে প্রতিনিয়তই তার স্ত্রীকে মারধর করে, তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে তাই আমি তাকে ইচ্ছামত পিটিয়েছি। তাছাড়া সে প্রায়ই গাঁজা সেবন করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে তার শাস্তি পাওয়া উচিত ছিলো তাই শাস্তি দিয়েছি। আপনি না পিটিয়ে তাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলতে পারতেন ? এরকম দুই একজনকে আমি নিজ হাতে শায়েস্তা করলে বাকি গুলো ঠিক হয়ে যাবে। তিনি এব্যাপারে সংবাদ পরিবেশন না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারা সংবাদ পরিবেশন করলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হবে। এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হক সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি অমানবিক। ইউপি সদস্য নিজে এভাবে বেধড়ক না পিটিয়ে ওই ব্যক্তি কোন অপরাধ করলে তাকে আইনের কাছে সোর্পদ করতে পারতো। এব্যাপারে ঘটনার শিকার ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থ গ্রহন করবো। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো: সাহেদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি এখন জেনেছি। এভাবে কাউকেই মারধরের নামে নির্মমতা ইউপি সদস্য দায় এড়াতে পারেন না। উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাহেদ সরকার জানান, আগের যুগে মানুষকে গাছের সাথে বেঁেধ পিটানোর কথা শুনেছি। বর্তমানে এধরনের ঘটনা ঘটেছে আমি শুনে স্তম্ভিত হলাম। এটি ঠিক নয়। আমি নিজে তা মেনে নিতে