মিসরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় জয়ের পথে রয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ঘোষিত ফলে জানা যায়, সিসি ৯৬ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হামদিন সাবাহি (বামপন্থী) পেয়েছেন ৩ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। আল-জাজিরা জানায়, ভোট পড়ার হার ছিল যথেষ্ট কম। ভোট না দেয়ার আর্থিক শাস্তি ঘোষণার পরও ভোটারদের আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি।
চলতি মাসের ২৬ ও ২৭ তারিখ মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দুই দিনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পড়ায় ভোটগ্রহণের সময়সীমা আরও এক দিন বাড়ানো হয়। জানা যায়, তিন দিনের ভোটগ্রহণে মিসরজুড়ে ২ কোটি ১০ লাখ ভোট পড়েছে, যা মোট ভোটের ৪৪ শতাংশ। মিসরের মোট ভোটার ৫ কোটিরও বেশি। এর আগে ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট পড়ে ৫২ শতাংশ।
বিজয়ের খবর প্রকাশের পর রাজধানী কায়রোয় উল্লাসে ফেটে পড়েন সিসি সমর্থকরা। তারা আতশবাজি এবং গাড়ির হর্ন বাজিয়ে উল্লাস করেন। তবে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, নির্বাচন কর্মকর্তার স্বাধীনতা, সরকারের নিরপেক্ষতা এবং মিসরের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সমন্বয় নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। সিসির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবাহিও বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। গত বছর জুলাই মাসে মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান সিসি। এরপর সামরিক সরকার মুরসির দল মুসলিম ব্রদারহুডের শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা ও গ্রেফতার করে। বর্তমানে আটক অবস্থায় মুরসির বিচার চলছে। মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর মিসরে এটাই প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। মুসলিম ব্রাদারহুড ও ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী দলগুলো এ নির্বাচন বর্জন করেছে।