ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা প্রত্যাহার করেছেন।
বুধবার মামলাটির চার্জগঠনের শুনানির ধার্য ছিল। এদিন তিনি নিজে আদালতে উপস্থিত হয়ে বিচারকের সামনে সাংবাদিকদের সমঝোতার প্রস্তাব দেন।
পরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তারেক মইনুল ইসলাম ভূইয়া উভয় পক্ষকে খাস কামরায় ডেকে নেন। প্রায় ২০ মিনিট উভয় পক্ষের আলোচনার পর সমঝোতা হওয়ায় তিনি মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।
ওই সময় মামলাটির আসামি দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, দৈনিক মানবকণ্ঠের প্রকাশক জাকারিয়া চৌধুরী ও অনলাইন নিউজপোর্টাল ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক আরিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী সমঝোতার প্রস্তাবে বলেন, সাংবাদিকরা আমার পূর্ব পরিচিত। তাদের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। সমঝোতা হতে পারে। সম্প্রতি কয়েকটি দৈনিকে আমার বিরুদ্ধে নিউজ করছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো না। একটি মামলা করেই বাঁচি না।”
গত বছর ২২ মে ঢাকা সিএমএম আদালতে এই তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৭ মে (২০১৩)অনলাইন নিউজপোর্টাল ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম ‘লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে কানাঘুষা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। ওই একই প্রতিবেদন গত ১৯ মে দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশ করে। প্রতিবেনদটিতে বলা হয়, “দায়িত্ব পাওয়ার পর মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বিজিএমইএ এর শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গোপনে কথা বলেছেন। তাকে ম্যানেজ করতে পারলে কমিটির প্রতিবেদন তৈরির সময় ব্যবসায়ীদের মতামত প্রাধান্য পাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। আগামী নির্বোচনের খরচ যোগাতে এখনই কিছু তহবিল গুছিয়ে রাখার কথা ভাবছেন তিনি। তবে মন্ত্রীর এমন প্রস্তাবে অস্বস্তিতে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।