চট্টগ্রাম: অনেক বাধা ও প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী সদস্যরা বিশ্ব দরবারে সম্মান অর্জনে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সাব্বির আহমেদ।
বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকায় আর্ন্তজাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস’২০১৪ উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিওসি এ মন্তব্য করেন।
জিওসি বলেন, জাতিংঘসহ বিশ্বের সকল দেশ আমাদের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সাফল্য এবং উপযুক্ততার প্রশংসা করেছে। বিশ্বশান্তি রক্ষায় আমরা সম্মান ও মর্যাদা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছ। এ অবদান সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশবাহিনীর।
UN_Day_ctg_02তিনি বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে ২৬ বছর ধরে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী মিশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশ বর্তমানে সারা বিশ্বে সর্বাধিক শান্তিরক্ষী সদস্য প্রেরণকারী দেশ হওয়ার মর্যাদা অর্জন করেছে। বর্তমানে ৯টি দেশে বাংলাদেশের ৮ হাজার ৮৪১ জন শান্তিরক্ষী সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী সদস্যদের মধ্যে ২১৮ জন মহিলা আছে বলে তিনি জানান। এছাড়া বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১১৮ জন শান্তিরক্ষী জীবন দিয়েছেন বলেও জানান জিওসি।
জিওসি বলেন, সরকারের দূরদর্শী পরিকল্পনায় শান্তিরক্ষী বাহিনী দিন দিন আরও দক্ষ হয়ে উঠছে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর বিচারবর্হিভূত হত্যা বন্ধ করতে ও শান্তিরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারে জাতিসংঘ মহাসচিবের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় একটি পদাতিক ব্যাটেলিয়ন প্রস্তুত করা হয়েছিল।
বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্মান অর্জনে সেনা সদস্যদের সঙ্গে পুলিশেরও প্রশংসা করেন জিওসি।
জিওসির বক্তব্য শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকা প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় চট্টগ্রামের মেয়র এম মনজুর আলম, সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ও সাবিহা মুসা, সিএমপি কমিশনার মো.শফিকুল ইসলাম সরকারী বিভিন্ন সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।