কচুয়া প্রতিনিধিঃ
কচুয়া উপজেলার নাউলা গ্রামের অধিবাসী নিরীহ জুলফিকার আলী মিন্টুর ক্রয়কৃত ২১শতাংশ সম্পত্তি ও বাড়ি জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই গ্রামের মৃত আলী আশ্রাফের পুত্র বিল্লাল হোসেন, লিটন ও সুমন গংদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে নিরীহ জুলফিকার আলী মিন্টু সম্পত্তি ও বাড়ির ফিরে পেতে এলাকার সমাজপতিদের ধারে ধারে ঘুরছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের নাউলা সিরাজ কন্ট্রাকটার বাড়ির অধিবাসী মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র জুলফিকার আলী মিন্টু ১৯৯৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর একই গ্রামের আলী আশ্রাফের কাছ থেকে ৯৮নং নাউলা মৌজার ২০৪নং খতিয়ানে (সাবেক ৫৬৪দাগে) ২১শতাংশ সম্পত্তি সাবকাবলার মাধ্যমে ক্রয় করে মাটি ভরাট করে বাড়ি ঘর নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। যার পৃথক দুটি দলির নং ৯৬৮৬ ও ৯৭০২ (তারিখ ২৯-১২-১৯৯৩ইং)।
সম্পত্তির মালিক জুলফিকার আলী মিন্টু জানান, ব্যবসায়ীক কাজে তৎকালীন সময়ে তিনি সম্পত্তি ও বাড়ি আলী আশ্রাফ গংদের কাছে ভাড়া দিয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামে চলে যায়। ভুক্তভূগী জুলফিকার আলী মিন্টু আরো জানান, বর্তমানে দেশে ফিরে এসে ক্রয়কৃত সম্পত্তি ফেরত চাওয়ায় বিল্লাল গংরা বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি প্রদর্শন করে আসছে।
এদিকে চলতি বছরের কোরবানীর ঈদের দিন জমিদাতা আলী আশ্রাফ মিয়া বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সম্পত্তির মালিক জুলফিকার আলী মিন্টু ওই সম্পত্তি ও ঘরে প্রবেশ করতে চাইলে আলী আশ্রাফ মিয়ার ৩ ছেলে বিল্লাল হোসেন, লিটন মিয়া ও সুমন বাঁধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে তাদের বাঁধায় জুলফিকার আলী মিন্টু নিরুপায় হয়ে সম্পত্তি ফিরে পেতে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর ধারে ধারে ঘুরছেন।
অভিযুক্ত সুমন মিয়া তার পিতা কর্তৃক জুলফিকার আলী মিন্টুর নিকট ওই জমি বিক্রির বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জুলফিকার আলী মিন্টু একজন আদম ব্যবসায়ী। ওই সম্পত্তির বিনিময়ে সে আমার বড় ভাই বিল্লাল হোসেনকে বিদেশ নেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তাকে (বিল্লাল হোসেন কে) বিদেশ নিতে না পাড়ায় সম্পত্তি আমাদের দখলে রয়ে যায়। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।