চাঁদপুর প্রতিনিধি ঃ চাঁদপুরে লঞ্চ চাপায় এক সন্তানের জননী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতাল থেকে নিহত গৃহবধূর লাশ নিয়ে নিয়ে গেছে তার স্বজনরা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে।
জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া দোকান ঘর এলাকার শেখ বাড়ির ইব্রাহিম শেখের স্ত্রী হামিদা বেগম (৩৫) ঢাকার বাড্ডা এলাকায় বসবাস করেন। ঘটনার দিন সকালে তিনি ঢাকা থেকে এম ভি সোনার তরী লঞ্চযোগে চাঁদপুরের উদ্দেশে আসেন। সকাল সোয়া ১১ টায় লঞ্চটি চাঁদপুর মাদ্রাসা রোড লঞ্চ টার্মিণাল ঘাটে থামলে হামিদা বেগম লঞ্চ থেকে নেমে নৌকাযোগে পুরানবাজার এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা হন। এ সময এম ভি প্রিন্স অব রাসেল ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়লে হামিদা বেগমদের বহনকৃত নৌকায় ধাক্কা লাগে। এতে হামিদা বেগম বুকে আঘাত পান। চাঁদপুর নৌ পুরিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই মোশারফ হোসেন স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হামিদা বেগমকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক হমিদা বেগমকে দেখেই মৃত বলে জানিয়ে দেয়। নিহত হামিদা বেগম তার এক মাত্র ছেলে জিহাদ (১২) ও তার এক জা’সহ চাঁদপুরে বাপের বাড়িতে বেড়ানোর জন্য এসেছিলো। মৃত্যুর কিছু সময় পর নিহত হামিদা বেগমের পরিবারের লোকজন মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন। পরিবারের সদস্যদের আর্তনাদে হাসপাতাল অঙ্গণ ভারী হয়ে যায়।
লঞ্চ ঘাটের অনেকে জানায়, নৌকাযোগে লঞ্চে যাত্রী উঠা নামা নিষেধ থাকলেও এ বিষয়ের কোন তদারকি নেই বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় বন্দর কর্মকর্তা মোবারক হোসেন সারাক্ষণ ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকেন। তিনি বন্দরে খুব একটা আসেন না। তার বিরুদ্ধে প্রায়ই বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ শোনা যায়। তার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় জড়িয়ে পড়েছে। ফলে বন্দর থাকছে অরক্ষিত।