মহান বিজয় দিবস-২০১৪ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক বিজয় দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে বোর্ডের চেয়ারম্যান ড.মোঃ আবদুল হক তালুকাদার এর সভাপতিত্বে বোর্ডের সভাকক্ষে সকাল ১০.০০ ঘটিকায় আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ আবুল কাশেম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (কারিগরি-২) জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বোর্ডের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ সভায় বিজয় দিবস ও মুক্তিযোদ্ধের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রানবন্ত বক্তব্য প্রদান করেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে সকলকে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য উদাত্ব আহবান জানান। বক্তারা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপিত,হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান -এর সোনার বাংলা বিনির্মানে দেশের সর্বস্তরের শ্রেণি-পেশা, ধর্ম বর্ণের মানুষকে মহান মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম উপ-সচিব(কারিগরি-২) বলেন, বিজয় দিবসের আনন্দের পাশাপাশি আমাদেরকে কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং বাংলাদেশের ঘরে ঘরে কারিগরি শিক্ষার আলো পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব নিতে হবে। আর এই দায়িত্ব চ্যালেঞ্জ হিসেবে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকেই নিতে হবে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দেশে কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণ ও গুণগতমান উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদিচ্ছার কথা স্মরণ করে তিনি কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মোঃ আবুল কাশেম বিজয় দিবস এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের উপর স্মৃতিচারন করেন এবং কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়নে বোর্ডের সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণকে একনিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। উপস্থিত সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন না হলে আমরা আজকের এ অবস্থানে আসতে পারতাম না। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধে যাদের অবদান রয়েছে তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি দেশের উন্নয়নে সকলকে কাজ করার আহবান জানান।
পরিশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ আবদুল হক তালুকদার তার সমপানি বক্তব্যে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড তথা কারিগরি পরিবারকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান -এর সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিঃস্বার্থভাবে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালনের প্রতি মনোনিবেশ করার অনুরোধ জানান। মুক্তিযোদ্ধের মহান শহীদদের আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তিনি বলেন, অনেক ত্যাগ তিতীক্ষার বিনিময়ে অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ করার লক্ষে বাংলাদেশের আপামর জনগোষ্ঠিকে দেশ গঠনের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দেশের জনসংখ্যাকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে জন সম্পদে রুপান্তর করার বিষয়ে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে তিনি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।