ঢাকা: বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রথমেই যে নাম আসে, সেটা হলো পুলিশ। বলা হয়ে থাকে পুলিশ জনগণের সেবক। পুলিশ দেশমাতার নির্ভীক সৈনিক। পুলিশ সদাজাগ্রত বীর। পুলিশ জনগনের বন্ধু। বিপদে যার কাছে আশ্রয় নেয়া যায় তিনিই বন্ধু। শুধু তাই নয় পুলিশ সমাজের ভারসাম্য রক্ষা করে। অপরাধ নিমূলে সচেষ্ট থাকে, থাকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্বে। এগুরু দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে চাই দেশ প্রেম। দলমতের উর্দ্ধে থেকে নিজ দায়িত্ব পালন করতে পারলেই যেমন সফল হওয়া যায়। তেমনি দক্ষ, সৎ, সাহসী পুলিশ অফিসার দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবে এটাই কাম্য। জনগনের নিরাপত্তা বিধান ও আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে যোগ্য, সৎ, সাহসী, পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তেমনই এক জন দেশমাতার নির্ভীক সৈনিকের সন্ধান মিলছে ঢাকার প্রাণ কেন্দ্র সাভার মডেল থানায়। গতকাল সাভার মডেল থানায় ঢুকতেই মূল ফটকে বড় অক্ষরে লেখা চখো পড়লো। সেবাই পুলিশের ধর্ম। এ কথাটা যে অতি সত্য তা থানার ভিতর ঢুকে তার বাসৱব মিল খুঁজে পেলাম। থানা কম্পাউন্ডারে বসা বেশ কয়েক জন যুবক। তাদের জিজ্ঞাসা করলাম কি কাজে আসছেন। তারা প্রতি উত্তরে বললো আমরা সবাই আটো রিক্সা চালক। আমাদের কাছে জনৈক এক আওয়ামীলীগ নেতা প্রতিনিয়ত চাঁদা দাবী করে আসছে তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে আমরা ৪০/৪৫ জন আটো রিক্সা চালক থানায় অভিযোগ দিতে আসছি। আপনাদের অভিযোগ কি আমলে নিয়েছে ওসি ? এমন প্রশ্ন করতেই এক যুকব টগবগ করে উঠলো আর বলতে লাগলো শুধু আমলে নয় অভিযোগ দেওয়া মাত্র ওসি সাহেব চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে পুলিশ পাঠিয়েছে। এ থেকেই বুঝা যায় সেবাই পুলিশের মূল ধর্ম। শুধু ধর্মই নয় মানব সেবার চেয়ে ভালো কাজ পূথিবীতে আর নেই । পুলিশের চাকুরী একটি পবিত্র চাকুরী বললেই চলে। (Police) এই পুলিশ শব্দটি লিখতে মাত্র ৬টি অৰর লাগে যাহা হয় বিনয়ী, অনুগত, বিশ্বস্ত, বৃদ্ধিমান, সাহসী ও দক্ষ। এটাই পুলিশ শব্দের মুল অর্থ আর এই অর্থ অনুযায়ী যদি পুলিশ কর্মতৎপরতা চালায় তাহলে সেটাই হবে মানুষ সেবার মূল উৎসর্গ। এই ছয়টি শব্দ যার মধ্যে বিদ্যামান থাকে যে কর্মক্ষেত্রেই হোক তিনি নির্ভিক দুঃসাহসিক এবং ন্যায় পরায়ন ও নীতিবান হবেন এবং দেশের অভ্যনৱরীন শানিৱ শৃঙ্খলা এবং আইন রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে থাকেন। তেমনি পুলিশ শব্দের সেসব গুনাবলি অক্ষন্ন রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল। অপরদিকে পুলিশ সরাসরি যে নীতি মেনে চলে তা হচ্ছে দুষ্টের দমন আর শিস্টের পালন। আমাদের দেশে যেখানে রাজনীতির বলি হয়ে পুলিশ নানা অপরাধের সহিত জড়িত হয়ে পড়ে সেখানে এ ধরনের পুলিশ অফিসার অন্যদের জন্য প্রেরনা আর উৎসাহ যোগায়। পুলিশ মূলত সকল মানুষের বিপদের বন্ধু। যে কোন মানুষই বিপদে পড়লে পুলিশের কাছে বা থানায় দৌড়ে চলে যায়। বিপদের সময় যে আশ্রয়দেয় সেইতো পরম বন্ধু। মোস্তফা কামালকে যতদিন থেকে দেখছি তিনি সে রকমই একজন মানুষের আকৃতিম বন্ধু। অনেক দিন পূর্বে যার সাথে আশুলিয়া থানায় দেখা হয়েছে সেই দুঃসাহসী ওসি মোস্তফা কামাল এর সাথে হঠাৎ দেখা সাভার থানায়। দেখা হতেই জিজ্ঞাসা করলাম কি অবস্থা আপনার, তার কাছ থেকেই জানা যায় তিনি পদোন্নতি পেয়ে সাভার থানায় যোগদান করেছেন। কর্মচঞ্চল দেখে তার সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, আসলেই মোসৱফা কামাল সন্ত্রাস, মাসৱান, মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্র ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধী ধরতে দক্ষ এবং আচার ব্যবহারে অত্যানৱ অমায়িক। তখনই তাকে নিয়ে একটি উৎসাহ মূলক প্রতিবেদন লিখতে চেয়ে ছিলাম কিন্তু ব্যস্ততার কারণে তা সম্ভব হয়নি। আমি মনে করি তার একটি ভাল কাজ আরেকটি ভাল কাজের সৃষ্টি হতে পারে। তার সে কাজ অন্যদের কাজের প্রেরণা সৃষ্টি করতে পারে সে কারনেই ওসি মোসৱফা কামালকে নিয়ে আমার আজকের এই প্রতিবেদন। লিখতে গেলে সত্য কথা দিয়ে লিখতে হয়। মোস্তফা কামাল পুলিশ বিভাগে এসআই পদে ২০০০ সালে ভর্তি হয় । এরপর থেকেই তিনি সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে। তিনি আশুলিয়া থানায় ও দীর্ঘ দিন ওসি তদন্ত হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আইন-শৃঙ্খলা সনেৱাষজনক রাখতে মাদকদ্রব্য উচ্ছেদসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ সুনাম ও অর্জন করেন তিনি। মোস্তফা কামাল পদোন্নতি পেয়ে সাভার মডেল থানায় যোগদান করে ০৩/০৬/১৩ইং তারিখে। মোস্তফা কামাল এর ব্যাপারে সাভার থানায় গভীর ভাবে খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায়, তিনি মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানী ব্যবসায়ীদের বড় শত্রম্ন এবং অপরাধীদের পিছনে কৌশল আবল্বন করে তাকে যেভাবেই হোক না কেন আইনের আওতায় এনেছেন। তিনি এএলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জিহাদ পর্যন্ত ঘোষনা করেছেন। অথচ অনেক পুলিশ অফিসার এর সাথে দাগী আসামীদের দহরম মহরম সম্পর্ক। ফলে সমাজে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে। কিন্তু এ ওসির কাছে তার সবই যেন উল্টো। কেননা তিনি তার চাকুরী জীবনের শুরম্ন থেকেই সততা ন্যায় নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে। তার কাছে কোন অপরাধী গুড সম্পর্ক করার সাহস পায়না। আর কোন দিন পাবেওনা এমনটাই আশা করেন তিনি। মোসৱফা কামাল এথানায় যোগদান করারপর এলাকার দাগী আসামী, ছিনতাইকারী, সন্ত্রাসী, ওয়ারেন্টর আসামীসহ বিভিন্ন অপরাধীকে আটক করতে সক্ষ্ম হয়েছে। শুধু তিনিই নয় তার নিদের্শে থানার অন্যান্ন অফিসার ও ন্যায় নিষ্টার সহিত কাজ করে যাচ্ছে। তিনি এই থানায় যোগদান করারপর থেকেই এলাকার শান্তি ফিরে দিতে সমর্ত হয়েছেন। তাই এই থানায় সবাই তাকে এক প্রকার বন্ধুর মতনই দেখতে শুরু করেছে। সব কিছু মিলিয়ে মোস্তফা কামাল সম্পর্কে লিখতে হবে। এক কথায় লিখতে হয় আপোষহীন অন্যায় ও ষড়যন্ত্রকারীর দুষমন। অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল এ প্রতিবেদককে বলেন, জনগণ পুলিশের প্রতি আস্থা রাখুক। আর জনগনকে সেবা দিতে পারাই হচ্ছে আমার শান্তি। কারন পুলিশই জনগনকে বন্ধু বানাতে হবে। আর এটাই আমার চাওয়া পাওয়া। জনগন যেন পুলিশকে ভুল না বুঝে। জনগণের সাথে পুলিশের সু-সম্পর্ক থাকলেই পুলিশের মান -সম্মান অক্ষন্ন থাকবে।