জিসান আহমেদ নান্নু-
কচুয়ায় এক স্কুল ছাত্রীকে ইভটিজিং’র (যৌন হয়রানী) অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার দুপুরে কচুয়া-দাউদকান্দি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার মালাখালা বাজার সংলগ্ন ব্রীজের উপর এ ঘটনা ঘটে। ভূক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার পিংকি ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বিল্লাল হোসেন সরকারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় এলাকা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন দুপুরে কচুয়া উপজেলার বারৈয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী হালিমা আক্তার পিংকি ও তার বান্ধবী রাবেয়া আক্তার বিদ্যালয় ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে মালাখালা ব্রীজের আসলে মালাখালা গ্রামের সফিকুল ইসলামের বখাটে পুত্র আবু সাঈদ ওরফে সাঈদী, নুরুল ইসলামের পুত্র রিয়ন, আবুল কাশেমের পুত্র ইব্রাহীম ও কাসেম মিয়ার পুত্র সালামসহ আরো ৩/৪জন বখাটে হালিমা আক্তার পিংকিকে লক্ষ্য করে অশালীন কথা বলে। একপর্যায়ে আবু সাঈদ পেছন থেকে ওই ছাত্রীর হাত ধরে টানা হেছড়া করে। নিরুপায় হয়ে ছাত্রীটি ভয়ে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে বখাটেরা তৎক্ষনে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
দাউদকান্দি উপজেলার নারিকেলতলা গ্রামের অধিবাসী নীরিহ মোঃ আবু মিয়ার মেয়ে বারৈয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী হালিমা আক্তার পিংকি জানায়, ইতিপূর্বে আরো কয়েকবার আবু সাঈদ ও তার সহযোগী বখাটেরা তাকে বিভিন্নসময় স্কুলে যাওয়া আসার পথে বিরক্ত করে। মানসম্মানের ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, বহু অপকর্মের হোতা বখাটে আবু সাঈদ ওরফে সাঈদী, রিয়ন, ইব্রাহীম ও সালাম বিভিন্ন সময় এলাকার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়–য়া ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে উত্তোপ্ত করে আসছে। তাদের ভয়ে অনেক শিক্ষার্থী স্কুল, কলেজে যাওয়া আসা বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বিল্লাল হোসেন সরকার জানান, ছাত্রীকে ইভটিজিং’র বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল জোর অপচেষ্টা করছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। অপরদিকে স্কুল ছাত্রীদের উত্তোপ্তকারী ৪বখাটে যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে সচেতন এলাকাবাসী।