কচুয়া প্রতিনিধিঃ
কচুয়ায় সম্পত্তিগত বিরোধের জেরধরে মামলা করায় শালিশ বৈঠকে বাদীর উপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের সেঙ্গুয়া (দক্ষিনপাড়া) গ্রামে হামলার এ ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে বাদী আব্দুল করিম (৩৫) বর্তমানে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সেঙ্গুয়া গ্রামের মৃত আলী মিয়ার পুত্র আব্দুল করিম সেঙ্গুয়া মৌজার (৩০নং) ১০৪৮দাগে ৩ শতক, ১০৫০ দাগে ৩শতক মোট ৬শতাংশ জমি ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন বাড়িঘর নির্মান করে ভোগদখল করে আসছে। বর্তমানে ওই সম্পত্তি একই গ্রামের শহীদ মিয়া, জহিরুল ইসলাম, রবিউল গংরা দাবী করে ভোগ দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় জমির মালিক মোঃ আব্দুল করিম স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন মুন্সি ও পরে কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার নং ৩২, তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৪ইং।
মামলার প্রেক্ষিতে কচুয়া থানা পুলিশ মামলার আসামী শহীদ উল্যাহ (৫০) ও রবিউল (২০) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। আসামীরা জামিনে এসে বাদী আব্দুল করিমকের নিকট মোটা অংকের অর্থ দাবী করে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করছে বলে বাদী দাবী করে। এদিকে মামলা ও সম্পত্তিগত বিষয় নিয়ে সেঙ্গুয়া গ্রামে স্থানীয়ভাবে গতকাল সোমবার সকালে শালিশ বৈঠক বসে। শালিশ বৈঠকে পূর্ব শত্র“তার জেরধরে জহিরুল ইসলাম, সুবজ, রবিউল, সাদেক, ওহিদ, শহিদসহ আরো ক’জন উশৃঙ্খল যুবক আব্দুল করিমের উপর প্রকাশ্যে হামলা করে মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত আব্দুল করিম জানান, শহিদ উল্যাহ ও রবিউল গংরা সম্পত্তিগত বিরোধ নিয়ে আমাকে বিভিন্ন সময় বেশ ক’বার মারধর করাসহ শারীরিক লাঞ্ছিত করে হুমকি ধমকি প্রদর্শন করে আসছে। হুমকি ধমকির ঘটনায় আব্দুল করিম কচুয়া থানায় একটি জিডি দায়ের করেন। যার নং ৬৮৬/১৪। এদিকে প্রতিপক্ষের অব্যাহত হুমকি ধমকির ফলে বর্তমানে বাদী ও তার পরিবার নিরপাত্তহীনতায় রয়েছে বলেও তিনি দাবী করছে।