আমার কণ্ঠ
করিম মিয়া (৬০) কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়ে দুই পায়ের আঙ্গুল থেকে কোমর পর্যন্ত পচেঁ গেছে। বর্তমানে দুটি হাতসহ শরীরের উপরের অংশে পচন ধরা শুরু হয়েছে। ব্যথা-বেদনায়, পঁচা-দূর্গন্ধে ও তার ডাক-চিৎকারে ঘরসহ আশে-পাশের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। তার ঘর ও পাশর্^বতী ঘরে মানুষ থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। চিকিৎসার অভাবে গরিব ও অসহায় এই মানুষটি যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। আর দিন দিন তার শরীর পঁচে-গলে যাচ্ছে এবং মৃত্যুর প্রহর গুনছে।
করিম মিয়া হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের মন্নান মিজি বাড়ির মৃত মুকসুদ আলীর ছেলে। তার ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। ২ ছেলে বিবাহিত ও ১ মেয়েকে বিবাহ দেয়া হয়েছে এবং ১ মেয়ে বিবাহযোগ্য। বাড়িতে আড়াই শতাংশ ভিটে-মাটি ছাড়া আর কোন অর্থ-সম্পদ নেই। বড় ২ ছেলে দিন-মজুর ছোট ছেলে কাজ শিখছে। রোজগার করতে পারলে পেটে ভাত। পিতার চিকিৎসা করাবে কি দিয়ে ?
সোমবার করিম মিয়ার বাড়িতে উপস্থিত হলে এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। করিম মিয়ার আর্তনাদে ও চিৎকার করা কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। কিছুতেই সান্ত¡না দেয়া যাচ্ছে না তাকে। তিনি চিৎকার করে বার বার বলে উঠছেন আর সহ্য করতে পারছিনা, আল্লাহ আমাকে মৃত্যু দাও, আল্লাহ আমাকে মৃত্যু দাও…….।
এ বিষয়ে তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, স্বামী করিম মিয়া রিক্সা চালাতেন। গত দেড় বছর আগে তার ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুল কুষ্ঠ রোগ দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শে অপারেশন করে সেই আঙ্গুল কেটে ফেলে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আঙ্গুল কাটার পরও কোন লাভ হয়নি। পুরো ডান পায়ে কুষ্ঠ রোগ দেখা দেয়। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারিনি। এরপর বাম পায়েও কুষ্ঠ রোগ দেখা দিল। চিকিৎসার অভাবে দুই পা কোমর পর্যন্ত পচেঁ গেছে। বর্তমানে দুই হাতসহ শরীরের উপর অংশে পচন ধরা শুরু হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তার ব্যাথার যন্ত্রনায় ডাক চিৎকারে এবং পঁচা দূর্গন্ধে ঘরে ও বাড়িতে মানুষ থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কি করবো চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই।
করিম মিয়ার চিকিৎসার্থে প্রশাসন ও বিত্তবানদের সাহ্যযের দিকে তাকিয়ে আছেন তার পরিবার ও এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে প্রয়োজনে করিম মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের সাথে (০১৯৮৮-৪৩১৯১৯) যোগাযোগ করার জন্য সু-হৃদয়বান ও বিত্তবানদের অনুরুধ করা হলো। সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিন আপনিও, আপনাদের সহযোগিতায় হয়তো বেচেঁ যেতে পারেন রোগাক্রান্ত অসহায় ও গরিব মানুষটি।