বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি একটি অরাজনৈতিক ও শক্তিশালী সংগঠন। প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ব্যক্তিগত থেকে সাংগঠনিক অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষকদের কল্যাণে সকল দাবী আদায়ের একমাত্র সংগঠন হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। এই সমিতির কার্যক্রম বাংলাদেশের সকল ইউনিয়নে সক্রিয় আছে। কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ ৪ বছর। ২০০৯ সালের ৩ মার্চ নির্বাচন হওয়ার পর ২০১৩ সালে মেয়াদ শেষ হলে, নতুন কার্যকরি পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতা ও বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের জাতীয় করণ করার কারণে ২ বছর মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও নতুন নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা পূর্ব ও পশ্চিম শাখার কার্যকরী কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। এখন হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখা কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার অপেক্ষায়, যে কোন সময় এ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণা হতে পারে। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন পদের প্রার্থীরা ভোটারদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে অনেক প্রার্থী নিজ নিজ কৌশলে এবং প্যানেল ভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেছেন। অনেকেই আবার নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নির্বাচন তপসিলের দিন ক্ষন গুনছেন। এ বছর নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, সভাপতি পদে মোঃ ছানাউল্লাহ পাটওয়ারী, মোঃ বিল্লাল হোসেন, আবু বকর ছিদ্দিক তপাদার, সহ-সভাপতি পদে মোঃ ছারওয়ার আলম, সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ শফিকুর রহমান, মোঃ মজিবুল হক, মোঃ আহসান হাবীব মজুমদার, মোঃ নুরুল আমিন বাবু, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক পদে সায়দুল বাসার জুয়েল, আবুল বাসার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ শহীদুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ তাজুল ইসলাম, মোঃ দেওয়ান হোসাইন চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক পদে এ.এন.এস মঞ্জুর মাওলা প্রমুখ।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুর রহমানের সাথে নির্বাচন সংক্রান্ত কথা হলে তিনি বলেন, আমি ২০০৯ সালে ৩ মার্চ আমার প্রিয় শিক্ষকদের ভোটে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই ৪ বছরের জন্য। কিন্তু নানা জটিলতায় ৪ বছর থেকে প্রায় ৬ পার হয়ে গেছে, আমরা নতুন কার্যকরী পরিষদ নির্বাচন করতে পারিনি। এখন সকল জটিলতার অবসান ঘটিয়ে আমরা নির্বাচন তপসিল ঘোষনার দারপ্রান্তে এসেছি। ইতিমধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভার কার্যকরী পরিষদ গঠন করা হয়েছে। আমার প্রিয় শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবী আদায় করার জন্য জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সাথে শিক্ষকদের নিয়ে সকল আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি। গত ছয় বছরে চেষ্টা করেছি আমার প্রিয় শিক্ষকদের যে কোন যৌক্তিক দাবী আদায় করার জন্য। আগামীতেও আমি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে সকল শিক্ষকদের একজন হয়ে যে কোন যৌক্তিক দাবী আদায়ের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাব।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোঃ আহসান হাবিব মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা ও উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেছি দীর্ঘ কয়েক বছর। তখন বেসরকারী শিক্ষকদের জাতীয় করণ করার দাবীতে সকল বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়ে আমরা একযোগে এবং এক সাথে আন্দোলন করেছি। সে আন্দোলনে সফলতা অর্জনের মাধ্যমে সকল বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয় করণ করতে সক্ষম হয়েছি। যার কারণে সাধারণ শিক্ষকদের মাঝে আমার গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে। তাই এখন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি নির্বাচনেও আমি উপজেলা কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করবো। আশাকরি এখানেও আমি সফল হবো।
উল্লেখ্য, হাজীগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রায় এক হাজার ভোটার রয়েছেন। অনেক ভোটারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবীর সাথে যারা অতিতে ছিলেন এবং ভবিষ্যতে থাকবেন আমারা তাদেরকে ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচিত করবো।