ওসে এন্টারপ্রাইজের সুনামধন্য মালিক কাউছার হামিদের সাথে মজনুর কোন আর্থিক লেনদেন নেই
টোরাগড়ে ভাবী মাহমুদার সাথে পরকীয়ায় জীবন দিতে হলো মজনুকে
মাহমুদাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানার পুলিশ হেফাজতে
আমার কণ্ঠ রিপোর্ট
মজনু ছোট বেলা থেকেই অন্যান্য ভাইদের চেয়ে একটু চালাক-চতুর। যে কোন পরিবেশের মানুষের সাথে কথা বলার মতো সাহস বা মনবল ছিল মজনুর। এ কারনেই অন্য ভাই-মা তার উপর ভরসা বেশি। ৭ ভাইর সকল অর্থ তার কাছে জমা থাকতো। সকল ভাই তাকে বিশ^াস করে। তার কথা বাহিরে অন্য ভাইয়েরা কোন কথা বলে না। এ যে চেইন এন্ড কমান্ড। বাহিরের জগতেও মজনু সবার সাথে হাশি খুশি ভাবে চলা চল করতেন। কথনো তার মধ্যে হিংসা বা অহমিকা ছিল না। মাইক্রো বাস চলকরাও তাকে আদর করতেন। এ ভাবে ছোট বেলা থেকেই বড় হয়েছেন মজনু। বৃস্পতিবার দুপরের পর থেকে রাত পর্যন্ত অনুসন্ধ্যান তার ভাইদের সাথে কথা বলেন এবং এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে এ কথা গুলো পাওয়া গেছে।
নিহত মজনুর ভাই তাজুল ইসলাম ও সাজু ইসলাম বলেন আমার ভাইয়ের সাথে কাহারো কোন শত্রুতা নেই। কথনো কাহারো সাথে তার খারাপ সম্পর্ক নেই। ঘরে শত্রু আমার ভাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে খুন করেছে। দুই কক্ষের সামনে মজুন পিছনের কক্ষে মা ও প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী ঘুমায়। ভোররাতে দরজার ছিটকিরি খুলে দুর্বৃত্তদের প্রবেশের সুযোগ করে ভাড়াদিয়া দিয়ে তাকে খুন করায় ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মাহমুদা। তার সাথে আমার ভাইয়ের গোপন সম্পর্ক আমরা কেউ জানতামনা।
তারা আরো বলেন টোরাগড়ের ওকে এন্টারপ্রাইজের মালিক কাউছার হামিদের সাথে আমার ভাইয়ের সাথে যে টাকা লেনদেন ছিল তা অনেক আগেই কাউছার আমাদের কে পরিশোধ করে দিয়েছে। সর্বশেষ কাউছারের সাথে ২লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিল। সে টাকা দু দাগে আমার মায়ের কাছে কাউছার দিয়ে দিয়েছে। কাউছারের বিরুদ্ধে আমাদের ছোট ভাই মানষীক ভারসাম্যহীন যে কথা গুলো বলেনছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা পরে পরিবারের সবাই মিলে যৌথ ভাবে বলেন দিয়েছি কাউসারের সাথে আমাদের কোন অর্থ লেনদেন নেই। এমনকি আমার ভাইয়ের হত্যার সাথে কাউছারের কোন সম্পর্ক নেই। কাউছার একজন সুনামধন্য ব্যবসায়ি। সে আমাদের এলাকার মানুষদেরকে সব সময় সহযোগিতা করে আসছে। কাউছার অত্যান্ত ভালো ব্যবসায়ি। আমাদের কথায় তার যে সুনাম নষ্ট হয়েছে তার জন্য আমরা তার কাছে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। তার যে কোন সমস্যা না হয় তার পাশে আমরা সবাই থাকবো।
একটি সূত্রে জানায় মজনু হত্যার সাথে ভাবী মাহমুদা জড়িত থাকার কথা স্বিকার করেছে। তবে কার মাধ্যমে এ পরিকল্পনা করে বা কাকে দিয়ে খুন করিয়েছেন তা বলেনি।
এব্যাপারে হাজীগঞ্জ থানার হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন রনি বলেন জিজ্ঞাসাবাদ চলছে দফায় দফায়। আমরা তথ্য সংগ্রহ করেছি। পুরোপরি ঘটনা জানার পর সবাইকে জানাবো। সে পর্যন্ত অপেক্ষয় থাকেন। আর আমাদেরকে সহযোগিতা করেন।
মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার মাইক্রো চালক মজনু(৩০) খুন হওয়ার ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে প্রায় তিন ঘন্টা যাবৎ রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ, সার্কেল ও পিবিআই।
বাড়ীর মালিকের মেয়ে উম্মে সাবরিনা বলেন, সকাল সাড়ে ৫ টার দিকে মন্টু চিৎকার দিয়ে তার ভাই খুন হয়েছে বলে জানান। পরে তার বোন হিরা আক্তার বাড়ীর গেইটের তালা খুলে দেয়। প্রতিদিন মজনুর পরিবার বাড়ীর গেইটের তালা বন্ধ করতো। গত সোমবার ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মজনুর ভাইয়ের স্ত্রী মাহমুদা তাদেরকে চা খাওয়ায়। ওই চা খেয়ে সে ও তার মা মাজেদা বেগম, ছেলে নাফিসহ ৫জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন চা তিতা লেগেছিল।