অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বরাদ্দের ২৭২ কোটি টাকা আগাম দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ভোটের আগে-পরে মিলিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা আনসার ও ভিডিপি, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের পেছনে এই অর্থ ব্যয় হবে।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা এবং বাজেট শাখা অর্থ বরাদ্দ ও মঞ্জুরির এই তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে।
এই ২৭২ কোটি টাকার মধ্যে সশস্ত্রবাহিনীর জন্য বরাদ্দ নেই। সশস্ত্রবাহিনীর চাহিদা চূড়ান্ত হলে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পরে ছাড় করা হবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে পরিচালনা ও আইন-শৃঙ্খলায় মোট ৭০০ কোটি টাকার খাতওয়ারি বরাদ্দ অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী এই ব্যয়ের দুই- তৃতীয়াংশই যাবে নিরাপত্তা খাতে।
নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৪ থেকে ১৬ জন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। আর র্যাব, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা থাকবেন টহলে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, অগ্রিম বরাদ্দের অর্থের মধ্যে পুলিশ বাহিনীকে ৬৩ কোটি ২২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা; র্যাবকে ১০ কোটি ২০ লাখ ২৮ হাজার ৮৫০ টাকা; কোস্ট গার্ডকে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, বিজিবিকে ৩৩ কোটি ২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৮৪ টাকা; আনসার ও ভিডিপিকে ১৬৩ কোটি ৮১ লাখ ৭৫ হাজার ৬০০ টাকা দেওয়া হয়েছে।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এর আগে জানিয়েছিলেন, আনসার বাহিনীকে শতভাগ টাকা অগ্রিম বরাদ্দ দেওয়া হবে। অন্য বাহিনীগুলোকে ৫০ ভাগ বরাদ্দ অগ্রিম দেবে ইসি।
২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে ১৫৩ আসনে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভোট হয়েছিল ১৪৭ আসনে। ওই আয়োজনে ব্যয় হয়েছিল মোট ২৬৪ কোটি ৬৭ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৯ টাকা।
এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ৮১ কোটি ৫৫ লাখ ৪১ হাজার ৩৪১ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে ১৮৩ কোটি ১২ লাখ ৮ হাজার ১২৮ টাকা ব্যয় হয়েছিল।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে দেশের ১০ কোটি ৪২ লাখ ভোটার যাদের নির্বাচিত করবে, তাদের নিয়েই গঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ। সেই সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল গঠন করবে বাংলাদেশের নতুন সরকার।
