মো: জাবেদ হোসেন॥
টানা আঠারদিন ধরে অবরোধ চলছে। দেশের প্রধানবিরোধী শক্তি বিএনপি জোট সংসদের বাইরে রয়েছে। গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় সাংবিধানিকভাবে সংসদের বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি ও তার জোটের অবস্থান হয়নি। গত বছরের নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং সরকারের শাসনামলকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ৫ জানুয়ারি বিএনপি মহা-সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল। এ মহা-সমাবেশের অনুমতি না দেয়ায় এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করায় এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি। অবরোধে সাড়া না পাওয়ায় প্রকাশ্যে হামলাসহ গুপ্ত হামলা করছে পিকেটাররা। জানা যায়, রাতের বেলায় যানবাহনকে লক্ষ্য করে পিকেটাররা ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে করে যানবাহনে থাকা যাত্রী ও চালকের গায়ে ওইসব ইট-পাটকেল লেগে আহত হয়। হামলাকারীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে তৎক্ষনাৎ ওই স্থান ত্যাগ করে আত্মগোপন করে। এসব হামলায় সিএনজি স্কুটার, অটোরিক্সা, প্রাইভেটকার সহ বিভিন্ন যানবাহনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।
এমন সব কান্ড ঘটতে শোনা যায় চাঁদপুর সদরের বাগাদী ইউনিয়নের নিজ গাছতলার আশপাশের এলাকায় ঘোষের হাট, বাস স্টান, বাবুর হাট, চাঁদখার বাজার, মতলব গাবতলি, মহমায়া, দেবপুর সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ওঠ পেতে থাকে। সন্ত্রাসীরা গুপ্ত হামলা করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এর ভয়ে যাত্রী সাধারণ ভয়ে চলাচল করছে না বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অটোরিক্সা চালক। গোপনে এসব হামলা হলে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতিসহ মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে বলে যাত্রী সাধারণেরা মনে করেন। বরাবরই হরতাল-অবরোধের সময় এ এলাকাটি সবচেয়ে বিপদজনক বলে অভিহিত করেন পর্যবেক্ষক মহল।
সচেতন মহল মনে করেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়ায় অধিকার সকলের রয়েছে। এ কর্মসূচি মানা না মানারও অধিকার সকলের। জোর পূর্বক কর্মসূচি পালনে বাধ্য করতে এবং পৈশাচিত হামলা কোনভাবেই মেনে নেবার নয়। সংশ্লিষ্ট মহলের এ ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে জেলাবাসীর মনে আতংক বিরাজ করছে।