এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় ৫জনকে আসামী করা হলেও ঘটনার নেপথ্যে এলাকায় কলকাঠি নাড়া টমটম চালক সাদেক (২৫), পিতা আব্দুল কাদের ৫/৬ মাস পূর্বে এলাকার ইমান (বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী)-এর সাথে সূচিকে ২হাজার টাকার বিনিময়ে কথা বলার জন্য কু-প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজী না হলে সাদেক এই বলে তাকে হুমকি দেয় যে, ‘আজ রাতেই তোকে দেখিয়ে দিব’। আশ্চর্যের বিষয়, সে রাতেই নজরুল ইসলামের মালিকানাধীন (ভাড়ায় যাত্রী চালিত) মোটর সাইকেলটি চুরি হয়ে যায়। এতে তারা আর্থিকভাবে বেশ চাপে পড়ে। সে থেকেই সাদেক তাদের পিছু লাগে। এমনকি সে নজরুলকে মোটর সাইকেল চুরির ব্যাপারে থানায় জিডি করতে এই বলে নিরুৎসাহিত করে যে, ‘মোটা অংকের টাকা না দিলে থানা পুলিশ জিডি বা মামলা গ্রহণ করে না। থানা পুলিশ করা খুবই ঝামেলার ব্যাপার’। এ ঘটনায় সাদেক কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকে। এরপর সে এলাকায় এসে সূচি ও সুপ্তির পিছনে আজেবাজে মন্তব্য করতে থাকে এবং তাদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলে এলাকার উচ্ছৃংখল-বখাটেদের ইন্দন-উস্কানি দেয়, যাতে বিখাউজরা তাদের পিছনে লাগে। মূলতঃ এ থেকেই মামলার আসামীরা সূচি ও সুপ্তির পিছু নেয়। এ ক্ষেত্রে তারা বিশ্বাসঘাতক মোটর সাইকেল চালক আবু হানিফকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে উল্লেখিত ঘটনা ঘটানোর কাজে লাগায়। গ্রেপ্তারকৃত মোটর সাইকেল চালক হানিফের সাথে পূর্ব থেকেই সাদেকের পরিচয় ও গোপন যোগাযোগ ছিল। এহেন অপরাধ সংঘটনে উস্কানীদাতা তথা এলাকায় ষড়যন্ত্রের কলকাঠি নাড়া সাদেক এ পৈশাচিক ঘটনার মামলায় এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এলাকার বিখাউজ সাদেককে গ্রেপ্তার করা হলেই নৃত্যশিল্পী সূচি গণধর্ষণ মামলার নেপথ্যের সব রহস্যই থলের বিড়ালের ন্যায় বেরিয়ে পড়বে।