অনলাইন ডেস্ক
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের প্রতিষ্ঠবার্ষিকীর উন্মুক্ত আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই ঘোষণা দিয়ে নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়া আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘আজকে আমাদের দায়িত্ব বিএনপির নেতা হিসেবে, কর্মী হিসেবে দেশের সমস্ত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে আজকে আমাদেরকে অবশ্যই এই যুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে এবং এই স্বৈরাচারি, এই হাসিনার সরকারকে পরাজিত করে আমাদেরকে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দে্শে ফিরিয়ে আনতে হবে।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘আসুন আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবং এই দেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে আমরা দূর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলি, গণঅভ্যুত্থান গড়ে তুলি। যার মাধ্যমে পরাজিত হবে এই স্বৈরাচারী, একনায়ক কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগের সরকার এবং জনগনের বিজয় হবে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘বিএনপির ইতিহাস হচ্ছে এই দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, ৪৩ বছরের ইতিহাস হচ্ছে এদে্শে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস, বিএনপির ইতিহাস হচ্ছে এই দেশে সত্যিকার অর্থে এই রাষ্ট্র ও এই জাতিকে একটা অস্তিত্ব প্রদানের ইতিহাস।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তিনি আমাদেরকে একটা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রানিত করেছিলেন, তিনি যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, পরবর্তিকালে তাকে যখন রাষ্ট্র নির্মানের দায়িত্ব দেয় তখন তিনি আমাদের বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, জাতিকে নির্মান করার স্বপ্ন দেখি্য়েছিলেন, তিনি আমাদেরকে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শন দিয়ে আমাদের নিজেদের অস্তিত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন যে, আমরা একটা স্বাধীন জাতি এই ভুখন্ডে সেটাই হচ্ছে জিয়াউর রহমান ও বিএনপির সবচেয়ে বড় অবদান।”
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আওয়ামী লীগ বন্ধুরা সার্বক্ষিনকভাবে সারাক্ষন বিএনপির বিরুদ্ধে বিশোদগার করে, আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে খাটো করার চেষ্টা করে, আমাদের আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে খাটো করার চেষ্টা করে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবকে খাটো করার চেষ্টা করে, বিএনপিকে খাটো করার চেষ্টা করে।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘তারা(আওয়ামী লীগ) যদি নিজেদেরকে একবার জিজ্ঞাসা করার চেষ্টা করে যে, তাদের অবদান কি এদেশের জন্য? তাদের অবদান হচ্ছে পাকিস্তানীদের কাছে আত্মসমর্পন, তাদের অবস্থান ভারতে পালিয়ে গিয়ে নেতা সাজা, নিজেদের মনে করে যে তারাই এদেশে স্বাধীনতা নিয়ে এসেছে, তাদের অবদান গণতন্ত্রকে করে ধ্বংস করে দিয়ে ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার করা, তারা সেদিন দেশকে জাতিকে বাংলাদেশের আত্মাকে নিহত করেছিলো। আমরা ভুলে যাইনি ৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের কথা ….। আওয়ামী লীগের ইতিহাসের এদেশের আত্মাকে বিক্রি করবার ইতিহাস, আওয়ামী লীগের ইতিহাস এদেশের মানুষের আকাংখা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধবংস করবার ইতিহাস।”
তিনি বলেন, ‘‘আজকে আওয়ামী লীগ যা শুরু করেছে কেন করছে? তারা জনগনকে বিভ্রান্ত করতে চায়, প্রকৃত ইতিহাস থেকে জনগনকে সরিয়ে দিয়ে তারা মিথ্যা ইতিহাস প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেজন্য গোয়েবেলসীয় কায়দায় মিথ্যা শুধু বার বার বলতেই থাকে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক তিনি এদেশের মানুষের হৃদয়ের মধ্যে আছেন্। তিনি তার কাজের মধ্য দিয়ে, এদেশে তিনি প্রাণ উতসর্গ করার মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের কাছে তার স্মৃতি পুরোপুরি প্রথিত হয়ে আছেন। শহীদ জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস ধারণ করেছে। এই দেশের ধান ক্ষেতে পথে-প্রান্তরে শহীদ জিয়া আজকে চিরজাগ্রত হয়ে আছে।”
খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা মামলায়’ সাজা দিয়ে সরকার আটক করে রেখেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ সেই নেত্রীও এদেশে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীর পতাকা যেদিন হাতে তুলে নিয়েছিলেন জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পরে সেদিনও অনেক মনে করেছিলো যে, বিএনপি বোধ হয় শেষ, বিএনপি ধবংস, আর বিএনপি জেগে উঠবে না।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘কিন্তু বিএনপির ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। ৯ বছর তিনি পথে-প্রান্তরে চারণ কবির মতো গান গেয়ে গণতন্ত্রের গান গেয়েছেন দেশকে মুক্তি করেছেন এবং আজকেও এই গণতন্ত্রের জন্য তার সমস্ত সুখ-আয়েস ত্যাগ করে, আত্বীয়-স্বজন ত্যাগ করে তিনি গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য কারা অন্তরীন হয়ে আছেন।আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত হয়ে আছেন। সেখান থেকে তিনি চেষ্টা করছেন। আজকে সমাবেশই প্রমাণ করে তার এই চেষ্টা সফল হচ্ছে। ইনশাল্লাহ সমস্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব হবে।”
সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, মিথ্যাচার করে গোয়েবেলসীয় কায়দায় সত্যকে মিথ্যা প্রমাণ করে কোনো লাভ হবে না। আর মানুষের অধিকার দাবিয়ে রেখেও কোনো লাভ হবে না।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘এই সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে তারা কলঙ্কিত করেছে, বাংলাদেশের সানুষের যে আশা-আকাংখা গণতন্ত্রকে তারা হত্যা করেছে। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্যে আজকে তারা কাজ করছে।”
জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপি তার ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই উন্মুক্ত আলোচনা সভা হয়। মিলনায়তনের বাইরেও শত শত নেতা-কর্মীর সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। পবিত্র কোরআন তেলোয়াত ও দোয়া অনুষ্ঠানের পর জাতীয় সঙ্গীত ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এই আলোচনা সভা শুরু হয়।
৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মিলনায়তন ও আশপাশে জাতীয় ও দলীয় পতাকা, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতি দিয়ে বর্ণিলভাবে সাজানো হয়। ‘শুভ শুভ শুভ দিন, বিএনপির জন্মদিন’, বাংলাদেশের অপর নাম জিয়াউর রহমান’, ‘খালেদা জিয়ার সংগ্রাম চলছে, চলবে’ ‘তারেক রহমানের সংগ্রাম চলছে, চলবে’ ইত্যাদি শ্লোগানে নেতা-কর্মীরা তাদের সরব উপস্থিতি জানান দেয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যা্ন তারেক রহমান লন্ডন থেকে বক্তব্য রাখেন যা বড় ডিজিটাল পর্দায় দেখানো হয়।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রমনা বটমূলে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘ ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের লক্ষ্য একটি-এই স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ভবিষ্যতে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করা এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে এসে রাজনীতি করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেয়া।”
‘‘সেজন্য আমাদের শ্লোগান হোক, অঙ্গীকার হোক, শপথ হোক- স্বৈরাচার হটাও, দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও।”স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘‘ওরা নিজেদের সকল ব্যর্থতাকে চাপা দেয়ার জন্য অত্যন্ত হৃদয় স্পর্শ করা একটা ইস্যুকে তারা সামনে এনে আমাদেরকে ব্যর্থ রাখতে চায়। হ্যাঁ এটার আমরা জবাব দেবো। তবে প্রকৃষ্ট জবাব হলো এই সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান। ”
‘‘একটা ইস্যুতে থাকি, এককথায় থাকি- আজকে থেকে সকল সমস্যার সমাধান শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে পরিত্রাণ।”
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকসহ কয়েকজন মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টার কমান্ডার দলের ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাহজাহান ওমর বীরোত্তম বলেন, ‘‘ কয়েকজন মন্ত্রী ইদানিং বলা শুরু করেছে জিয়াউর রহমান সাহেব যে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তার প্রমাণ দিতে হবে। আরে ব্লাডি ফুল তুমি কে? তুমি কি মুক্তিযোদ্ধা। ইউ হেভ বিন এ বিগ বডি রাজাকার। এই প্রশ্ন করার তুমি?”
‘‘ আসলে জিনিসটা কি জানেন? সবাই জিয়াউর রহমানকে ভয় পায়। শেখ হাসিনা ঘুমাইতে পারে না, আওয়ামী লীগ ঘুমাইতে পারে না। দরজা-জানালা সব আটকিয়ে ঘুমায়। কারণ কী জানেন? কখন জিয়ার প্রেতাত্মা বোধহয় ঘুম থেকে উঠে মেরে ফেলে-এই ভয়ে দরজা-জানালা সব লকআউট করে তারপরে ঘুমায়। আর সারা রাত স্বপ্ন দে্খে- হ্যায় জিয়া এই আসলো, এই এলো, এই আর্মি, এই জিয়া।”
চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই-প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সে সদস্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, ‘‘ লে. কর্ণেল জয়নুল আবেদীনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে জিয়াউর রহমানের লাশকে কবরে (চন্দ্রিমা উদ্যান) নামানো হয়েছে। জয়নুল নিজেও কবরে নেমেছিলেন। অথচ তারা বলে যে, কবরে লাশ নেই।”
‘‘ কবরের পাশে তিনি(শেখ হাসিনা) বসবাস করে আতঙ্কিত হয়ে গেছেন। আজকে যত মানুষ এখানে জড়ো হয়েছে আপনারা যদি রাস্তায় একটা মিছিল করতে পারেন তাহলে কিন্তু তাদের পলায়ন শুরু হয়ে যাবে। একবার সাহস করে রাস্তায় নামেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তারা(আওয়ামী লীগ) বারং বার বিকৃত করেছে। রাজপথে সংগ্রাম ছাড়া্ এই অনির্বাচিত প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আশ্রিত সরকারকে সরানো যাবে না।আসুন আমরা সবাই মিলে আরেকটি মুক্তিুযুদ্ধ অংশ গ্রহন করি।”
মুক্তিযুদ্ধের জিয়াউর রহমান জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন, যারা অধিনায়ক হন তারা যুদ্ধ পরিচালনা করেন তারা গুলি ছোঁড়েন না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে দেন মেজর হাফিজ।
মির্জা ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান ও আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
এই অনুষ্ঠানে বিএনপির শওকত মাহমুদ, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শিরিন সুলতানা, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আকরামুল হাসান, নিপুণ রায় চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর আক্তারুজ্জামান, অঙ্গসংগঠনের আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, হেলেন জেরিন খান, শাহ নেসারুল হক, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, এসএস জাহাঙ্গীর, ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃ্বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।