আমার কণ্ঠ রিপোর্ট
হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভপতি মরহুম সুজাওয়াত আলী মুন্সীর ছোট ছেলে, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বর্ষীয়ান নেতা হোসেন ইমাম হায়দার এর আজ ৭ ডিসেম্বর মৃত্যু বাষির্কী।
হোসেন ইমাম হায়দার ১৯৬৪ সালে ছাত্র লীগের রানীতিতে যোগদান করেন। ১৯৬৬-এর ছাত্র আন্দলন ও ছাত্রলীগের ১১দফা, আওয়ামীলীগের ৬দফা আন্দলনে অংশ গ্রহন করে সারাদেশে ছাত্র নেতা হিসাবে বেপক সুনাম অর্জন করেন। এছাড়া ও ৬৯এর গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত যুগান্তকারী বলিষ্ঠ ছাত্র নেতৃত্বের ফল স্বরূপ ঢাকা মহানগর ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জগন্নাত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্র সংসদের জি এস ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার অত্যান্ত আস্থাভাজন দলীয় পরীক্ষিত নেতা ছিলেন। ১৯৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ভুমিকা ছিল বলিষ্ঠ। হোসেন ইমাম হায়দার সর্বপ্রথম হাজীগঞ্জে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। আজ তাঁর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার পারিবারিক ভাবে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে বলে তার ছেলে ভবি জানায়।
গত ২০০৭ সালে শুক্রবার ৭ ডিসেম্বর সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ঢাকা মোহাম্মদপুরের নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নানিল¬াহে…….রাজেউন)। স ২ভাই, ২ছেলে ও ১ মেয়েসহ বহু রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও বন্ধু বান্ধব রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে হাজীগঞ্জের সর্বস্তরে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুর সংবাদ হাজীগঞ্জে পৌছলে সাথে সাথে তার নিজ বাড়ি পৌর এলাকার রান্ধনীমুড়া মুন্সী বাড়ীতে কান্নার রোল পড়ে যায়। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সকল সংগঠনের নেতা কর্মীদের কাছে মুহুর্তেইতাদের প্রিয় নেতার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকা মোহাম্মদপুর নিজ বাসভনের সামনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ দলীয় কার্যালয়ের সামন তার লাশ আনা হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পমাল্য অর্পন করেন। পরের দিন জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রান্ধুনীমুড়া মুন্সী বাড়ীতে তার পারিবারিক কবরস্থানে পিতার কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। তার ৮ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে নিজ বাড়ী রান্ধুনীমুড়া মুন্সী বাড়ীতে পারিবারিক ভাবে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে মরহুম হায়দার মুন্সীর ছেলে ববি জানান।